মালদা, 23 মার্চ: চারদিন আগে বাবার সঙ্গে হাট থেকে ঘরে ফিরেছিলেন ৷ এরপর বাবার থেকে 50 টাকা নিয়ে ঘর থেকে ফের বেরিয়েছিলেন ছেলে ৷ বাজার থেকে বাবা তাড়াতাড়ি ফিরতে বললেও এরপর (মঙ্গলবার) থেকেই ছেলের আর দেখা মিলছিল না ৷ তিনি কোথায়, কেউ জানতে পারেননি ৷ অবশেষে শনিবার সেই ছেলের দেহ ভেসে উঠেছে স্থানীয় একটি ক্যানালে ৷ খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করেছে ভালুকা ফাঁড়ির পুলিশ ৷ ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে মালদা মেডিক্যালে ৷
এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফে ফাঁড়িতে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত ৷ মৃত যুবকের নাম শ্যাম সাহা ৷ বয়স 26 বছর ৷ বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের কড়িয়ালি গ্রামে ৷ শনিবার গ্রামেরই একটি মদের ভাটির পাশের ক্যানালে তাঁর দেহ ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা ৷ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এলাকার মানুষজনেরও দাবি, মৃতদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ৷ ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে গলাতেও ৷ সবারই অনুমান, একাধিক ব্যক্তি শ্যামকে খুন করে ক্যানালের জলে ফেলে দিয়েছে ৷
মৃতের বাবা বৃদ্ধ মধু সাহা পেশায় হাট ব্যবসায়ী ৷ ব্যবসায় তাঁকে সাহায্য করার জন্য ছোট ছেলেকে হাটে নিয়ে যেতেন ৷ গত মঙ্গলবারও ছেলেকে নিয়ে হাটে গিয়েছিলেন তিনি ৷ তিনি বলেন, "মঙ্গলবার হাট করে রাত ন'টায় বাড়ি ফিরেছিলাম ৷ ছোট ছেলেও আমার সঙ্গে হাটে গিয়েছিল ৷ হাট থেকে ফিরে ও আমার কাছ থেকে 50 টাকা নিয়ে বাজার চলে যায় ৷ আমি ওকে তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরে আসতে বলি ৷ এটাই ওর সঙ্গে শেষ কথা ৷ চারদিন পর আজ, শনিবার সকালে গ্রামের নদীতে ওর দেহ ভেসে উঠেছে ৷"
শ্যামের দিদি আশা সাহা বলেন, "ওর মাথায় মারা হয়েছে, গলা কাটা হয়েছে, পায়ের চটিটা গাছের ডালে আটকে দেওয়া হয়েছে ৷ আমাদের সন্দেহ, 4-5 জন মিলে ওকে খুন করে দেহ নদীতে ফেলে দিয়েছে ৷ কারও সঙ্গে ওর শত্রুতা ছিল না ৷ পুলিশের কাছে আমাদের আবেদন কে বা কারা আমার ভাইকে এভাবে খুন করেছে, তা তদন্ত করে বের করা হোক ৷" হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷ তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না-আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব নয় ৷
আরও পড়ুন: