কলকাতা, 3 মে: তীব্র গরমে রাতে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন এক বিজেপি কর্মী। আর রাতে বাইরে গিয়েই অস্ত্রের কোপ খেয়ে বর্তমানে বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উত্তর কলকাতার ওই বিজেপি কর্মী। তাঁর নাম এন্দল যাদব। জানা গিয়েছে, গতকাল রাত এগারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ফুলবাগান থানার আওতাধীন কাদাপাড়া এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে নেমে ফুলবাগান থানার পুলিশ তিন জনকে আটক করেছে। রাস্তার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে এই ঘটনার তদন্তও শুরু করছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত 11টা নাগাদ বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন ওই বিজেপি কর্মী। তাঁর অভিযোগ, আচমকাই কোথা থেকে একদল দুষ্কৃতী এসে তাঁকে ঘিরে ফেলে ৷ এরপরই ধারালো ছুরি দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় বলেও অভিযোগ ৷ কোনও ভাবে প্রাণে বাঁচতে একটি জলাশয় তিনি ঝাঁপ দেন। তবে সেই জলাশয় থেকে টেনে বার করে ফের তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ ৷ ঘটনার জেরে তাঁর একটি পা-ও ভেঙ্গে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরপর এলাকার বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে এসে ওই যুবককে উদ্ধার করে ৷ যদিও ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ফুলবাগান থানার পুলিশ।
আক্রান্ত যুবককে নীলরতন সরকার হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপে প্রচুর রক্তপাত হওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি এরপর তাঁকে বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই বিজেপি কর্মী। শুক্রবার দুপুরে ফুলবাগান থানার পুলিশ বাইপাস সংলগ্ন ওই বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে ওই বিজেপি কর্মীর বয়ান রেকর্ড করেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে খাস কলকাতায় এইভাবে এক বিজেপি কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় রীতিমতো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, এই ঘটনার রয়েছে তৃণমূলের হাত রয়েছে। এই বিষয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। নতুন করে যাতে উত্তেজনা না ছাড়ায়, তার জন্য এলাকায় পুলিশ পিকেটিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
'পর পর দু'বার শ্লীলতাহানি করেছেন', কড়া ভাষায় রাজ্যপালের নিন্দা মমতার