ETV Bharat / state

মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পরেও অধিবেশন ওয়াকআউট বিজেপি'র - BJP Walkout Assembly Session

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 2, 2024, 2:31 PM IST

Updated : Aug 2, 2024, 4:37 PM IST

BJP Walkout Assembly Session: বিধানসভার অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে গেল বিজেপি ৷ আজ বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিরোধী দল ৷ কিন্তু, প্রস্তাব গৃহীত হলেও আলোচনায় অংশগ্রহণ করল না বিধানসভার বিরোধী দল বিজেপি ৷

BJP Walkout Assembly Session
বিধানসভার অধিবেশন ওয়াকআউট বিজেপির ৷ (নিজস্ব চিত্র)

কলকাতা, 2 অগস্ট: আজ বিধানসভায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল বিজেপি ৷ সেই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর, আলোচনায় অংশগ্রহণ করে তারা ৷ কিন্তু, মাঝপথেই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ৷ শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভার বাইরে সরকারের বিরুদ্ধে উঠল স্লোগান ৷

বিধানসভার অধিবেশন ওয়াকআউট নিয়ে বিজেপির সমালোচনা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ (নিজস্ব চিত্র)

বিধানসভায় চলা বিশেষ অধিবেশনে বারবার বিজেপিকে বলতে শোনা গিয়েছে, বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনলেও, তা নিয়ে আলোচনার সুযোগ দেওয়া হয় না বিজেপিকে ৷ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগও করা হয়েছে ৷ বলা হচ্ছিল, বিধানসভার প্রধান বিরোধী দল হয়েও, তাদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না ৷ এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিয়েছিল বিজেপি পরিষদীয় দল ৷ অধ্যক্ষ তাদের এই মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ গ্রহণ করেন এবং আলোচনার জন্য 10 মিনিট সময় দিয়েছিলেন ৷

মুলতুবি প্রস্তাবে বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফ থেকে বলা হয়, "দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে গরিব মানুষের অসুবিধা হচ্ছে ৷ ফড়েদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক ৷ কালোবাজারি রোখা হোক ৷ ফড়েদের জন্য সমস্যা বাড়ছে ৷ কড়া শাস্তির নিদান হোক ৷ বিদ্যুৎ বিল তিন মাসের বদলে প্রতি মাসেই দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক ৷" বিজেপির তরফ থেকে নরহরি মাহাতো এই প্রস্তাব বিধানসভায় পড়ে শোনান ৷ জবাবে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "পেট্রো পণ্যের দাম বাড়লে জিনিসের দাম বাড়ে, আপনারা জানেন ৷ অতএব, বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করছেন ৷"

শোভনদেব পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, "ইলেকশন বন্ডের সময় কোথায় ছিলেন ? যখন ওষুধের দাম বাড়ল, তখন কেন চুপ করে থাকলেন ?" পরিষদীয় মন্ত্রীর বিরোধী দলকে আক্রমণের মাঝেই, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয় ৷ ফলে মাঝে মধ্যেই হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছিল অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলতে থাকেন, "যারা বাজেটে ঘোষণা করে মেডিক্যাল সামগ্রীর উপর জিএসটি নেয়, জীবন বীমা ও স্বাস্থ্য বীমাও সেখানে ছাড় পায় না ৷ তাদের মুখে এসব দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা মানায় না ৷ ইতিমধ্যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে হস্তক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছেন ৷ টাস্ক ফোর্সের মেম্বাররা ইতিমধ্যে বাজারে বাজারে ঘুরে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে ৷ সবজির দাম তুলনামূলকভাবে হ্রাস পেয়েছে 30-40 শতাংশ ৷"

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জবাব চলাকালীন বিরোধী দল বিজেপির বিধায়কদের আসন থেকে হট্টগোল শুরু হয়ে যায় ৷ বিরোধী বিধায়করা চিৎকার শুরু করেন ৷ অধ্যক্ষ তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, "মন্ত্রী বিধানসভায় উত্তর দিচ্ছেন. আপনাদের শোনার ধৈর্য নেই ৷" আর এরপরেই আলোচনা থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি ৷ এরপর আলুর প্যাকেট ও থালার উপর লেখা স্লোগান তুলে ধরে বিধানসভার গেটের বাইরে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা ৷ সেখানে লেখা ছিল, "এত দাম খাব কী ?"

যদিও, এদিন প্রথমার্ধের অধিবেশন শেষে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,"উত্তর কারও পছন্দ হতে পারে, নাও পারে ৷ সবাইকে শুনতে হবে ৷ ওরা বারবার বলে আলোচনা করতে দেয় না ৷ আজ আমরা আলোচনা করতে দিলাম ৷ কিন্তু, ওরা চলে গেল ৷" অন্যদিকে, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "দ্রব্যমূল্য ইস্যু হল কেন্দ্রের বিষয় ৷ পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ছে ৷ তাতে জিনিসের দাম বাড়ছে ৷ এই সত্যকে আলাদা করব কীভাবে ? তাছাড়া টাস্ক ফোর্সের মাধ্যমে দাম কমানো হয়েছে ৷ ওষুধের দাম বাড়িয়ে ইলেকশন বন্ডে টাকা দিয়েছে সেই কোম্পানি ৷ তখন বিজেপি কী করছিল ?"

কলকাতা, 2 অগস্ট: আজ বিধানসভায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল বিজেপি ৷ সেই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর, আলোচনায় অংশগ্রহণ করে তারা ৷ কিন্তু, মাঝপথেই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ৷ শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভার বাইরে সরকারের বিরুদ্ধে উঠল স্লোগান ৷

বিধানসভার অধিবেশন ওয়াকআউট নিয়ে বিজেপির সমালোচনা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ (নিজস্ব চিত্র)

বিধানসভায় চলা বিশেষ অধিবেশনে বারবার বিজেপিকে বলতে শোনা গিয়েছে, বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনলেও, তা নিয়ে আলোচনার সুযোগ দেওয়া হয় না বিজেপিকে ৷ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগও করা হয়েছে ৷ বলা হচ্ছিল, বিধানসভার প্রধান বিরোধী দল হয়েও, তাদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না ৷ এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিয়েছিল বিজেপি পরিষদীয় দল ৷ অধ্যক্ষ তাদের এই মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ গ্রহণ করেন এবং আলোচনার জন্য 10 মিনিট সময় দিয়েছিলেন ৷

মুলতুবি প্রস্তাবে বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফ থেকে বলা হয়, "দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে গরিব মানুষের অসুবিধা হচ্ছে ৷ ফড়েদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক ৷ কালোবাজারি রোখা হোক ৷ ফড়েদের জন্য সমস্যা বাড়ছে ৷ কড়া শাস্তির নিদান হোক ৷ বিদ্যুৎ বিল তিন মাসের বদলে প্রতি মাসেই দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক ৷" বিজেপির তরফ থেকে নরহরি মাহাতো এই প্রস্তাব বিধানসভায় পড়ে শোনান ৷ জবাবে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "পেট্রো পণ্যের দাম বাড়লে জিনিসের দাম বাড়ে, আপনারা জানেন ৷ অতএব, বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করছেন ৷"

শোভনদেব পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, "ইলেকশন বন্ডের সময় কোথায় ছিলেন ? যখন ওষুধের দাম বাড়ল, তখন কেন চুপ করে থাকলেন ?" পরিষদীয় মন্ত্রীর বিরোধী দলকে আক্রমণের মাঝেই, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয় ৷ ফলে মাঝে মধ্যেই হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছিল অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলতে থাকেন, "যারা বাজেটে ঘোষণা করে মেডিক্যাল সামগ্রীর উপর জিএসটি নেয়, জীবন বীমা ও স্বাস্থ্য বীমাও সেখানে ছাড় পায় না ৷ তাদের মুখে এসব দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা মানায় না ৷ ইতিমধ্যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে হস্তক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছেন ৷ টাস্ক ফোর্সের মেম্বাররা ইতিমধ্যে বাজারে বাজারে ঘুরে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে ৷ সবজির দাম তুলনামূলকভাবে হ্রাস পেয়েছে 30-40 শতাংশ ৷"

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জবাব চলাকালীন বিরোধী দল বিজেপির বিধায়কদের আসন থেকে হট্টগোল শুরু হয়ে যায় ৷ বিরোধী বিধায়করা চিৎকার শুরু করেন ৷ অধ্যক্ষ তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, "মন্ত্রী বিধানসভায় উত্তর দিচ্ছেন. আপনাদের শোনার ধৈর্য নেই ৷" আর এরপরেই আলোচনা থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি ৷ এরপর আলুর প্যাকেট ও থালার উপর লেখা স্লোগান তুলে ধরে বিধানসভার গেটের বাইরে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা ৷ সেখানে লেখা ছিল, "এত দাম খাব কী ?"

যদিও, এদিন প্রথমার্ধের অধিবেশন শেষে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,"উত্তর কারও পছন্দ হতে পারে, নাও পারে ৷ সবাইকে শুনতে হবে ৷ ওরা বারবার বলে আলোচনা করতে দেয় না ৷ আজ আমরা আলোচনা করতে দিলাম ৷ কিন্তু, ওরা চলে গেল ৷" অন্যদিকে, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "দ্রব্যমূল্য ইস্যু হল কেন্দ্রের বিষয় ৷ পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ছে ৷ তাতে জিনিসের দাম বাড়ছে ৷ এই সত্যকে আলাদা করব কীভাবে ? তাছাড়া টাস্ক ফোর্সের মাধ্যমে দাম কমানো হয়েছে ৷ ওষুধের দাম বাড়িয়ে ইলেকশন বন্ডে টাকা দিয়েছে সেই কোম্পানি ৷ তখন বিজেপি কী করছিল ?"

Last Updated : Aug 2, 2024, 4:37 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.