কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালি নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি ৷ শনিবারও সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাজ্য বিজেপির মহিলা নেতৃত্বরা। তবে সন্দেশখালি যাওয়ার আগেই প্রথমে সায়েন্সসিটি ও পরে ভোজেরহাটের কাছে পুলিশি বাধার মুখে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল-সহ অনেকেই। গ্রেফতার করা হয় লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ৷ এরপর তাঁকে লালবাজারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ ঘটনায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা ৷ অনেক পরে রাতের দিকে জামিন পান নেত্রী। লালবাজার থেকে বেরিয়ে আরও একবার রাজ্য প্রশাসনের সমালোচনায় সরব হন লকেট।
এদিন সাত সদস্যের বিজেপির প্রতিনিধি দল এবং মহিলা আইনজীবীদের দল সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা হয় ৷ কিন্তু আচমকাই তাঁদের আটকানো হয় ভোজেরহাটের কাছে ৷ এই ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বলেও অভিযোগ ৷ সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন যে ভোজেরহাটের কাছে 144 ধারা জারি করা নেই ৷ তাহলে কেন তাঁদের আটকানো হল। পুলিশের তরফে কখনও ট্রাফিক জ্যাম আবার কখনও পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷
বৃহস্পতিবারই দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ পরে সুকান্তকে পুলিশ যেতে দিলেও সন্দেশখালি থানার সামনে বিজেপি নেতাদের অবস্থান ও বিক্ষোভের জেরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ৷ পরে সুকান্তকে গ্রেফতারও করা হয় ৷ আর আজও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ৷ ইতিমধ্যেই সন্দেশখালি থেকে কিছুটা দূরে ভোজেরঘাটের কাছে লকেট-সহ বাকি প্রতিনিধি দলকে আটকায় পুলিশ ৷ এরপর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে ৷ তারপরেই সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷
অন্যদিকে, নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালির বেশ কয়েকটি এলাকা ৷ সেখানে শাহজাহান শেখের এক অনুগামীর মাছের ভেড়ির আলাঘর পুড়িয়ে দিয়েছে উন্মত্ত জনতা ৷ লাঠি-ঝাঁটা হাতে ফের রাস্তায় নেমেছেন সন্দেশখালির মহিলারা ৷ পুলিশের সামনেই ক্ষোভ প্রকাশ তাদের ৷
আরও পড়ুন
1. সন্দেশখালিকাণ্ডে বাড়ছে উদ্বেগ, বঙ্গে কড়া নির্দেশিকা নির্বাচন কমিশনের
2. শাহজাহানকে ফের নোটিশ, সকাল থেকে শহরের একাধিক জায়গায় নতুন করে তল্লাশি ইডির
3. খেলার মাঠের পর শিবুর দখলে থাকা জমিও গ্রামবাসীদের ফিরিয়ে দিল প্রশাসন