মালদা, 22 জুন: অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল মণ্ডল পরিবার। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ছয় বছরের স্নেহা ৷ এখনও মালদা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন বাবা মহিলাল মণ্ডল ও মা ছবি মণ্ডল ৷ শনিবার সন্তানহারা ওই দম্পতির সঙ্গে দেখা করতে যান উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ৷ শুধু ওই দম্পতি নন, মেডিক্যালের দুটি ওয়ার্ডের সমস্ত চিকিৎসাধীন রোগীর সঙ্গেই কথা বলেন তিনি ৷
পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মেডিকেলের পরিকাঠামো ও পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন খগেন মুর্মু ৷ তিনি বলেন, “গত 17 জুন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় আহত এক দম্পতি মালদা মেডিক্যালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের সাড়ে ছয় বছরের মেয়ে স্নেহা মণ্ডল ওই দুর্ঘটনাতেই প্রাণ হারিয়েছে। মূলত ওই দম্পতির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। মহিলালবাবু ট্রমা কেয়ার ইউনিটের সার্জিক্যাল বিভাগে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী আইসিইউ-তে রয়েছেন। ওনাদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি মালদা মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেক রোগী ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গেই কথা বলেছি।"
সাংসদ আরও বলেন, "চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারলাম, মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যে পরিষেবা মানুষের পাওয়ার কথা, সেই পরিষেবা মানুষ পাচ্ছেন না। এই মেডিক্যালের পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার 150 কোটি টাকা দিয়েছে। সেই টাকা দিয়ে ট্রমা কেয়ারের বিল্ডিং তৈরি হয়েছে। তবে এখানে এখনও পরিকাঠামোর অনেক ঘাটতি রয়েছে। এর আগেও আমি বলেছি, কেন্দ্রীয় সরকারের সেই টাকা ঠিক মতো খরচ করা হয়নি।”
চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, “সিনিয়র চিকিৎসকরা ঠিকমতো ওয়ার্ডে যাচ্ছেন না। ইনটার্নরা মূলত পরিষেবা সামলাচ্ছে। স্পেশালিস্ট চিকিৎসকদেরও ওয়ার্ডে আসার প্রয়োজন রয়েছে। চিকিৎসকদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও ঘাটতি রয়েছে। একই রোগীকে বারবার মেডিক্যালে ভর্তি হতে হচ্ছে। রোগীর আত্মীয়রা আমার কাছে সেই অভিযোগ করেছেন। আমি মেডিকেল সুপারের সঙ্গে পুরো বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।”