জলপাইগুড়ি, 19 জুলাই: গাজলডোবায় জমি কেলেঙ্কারি হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে তা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি করলেন বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য় সচেতক শঙ্কর ঘোষ ৷ এই নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে শুক্রবার দেখা করতে এসে একাধিক অভিযোগ করেন তিনি ।
তাঁর অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত গাজলডোবা এলাকায় যে যে রিসর্ট ভেঙেছে, সেটা নিয়ে শুধুমাত্র আইওয়াস করা হচ্ছে ।তৃণমূল নেতাদের রিসর্টের প্রাচীর কেবল ভাঙা হয়েছে ৷ আর কিছুই করা হয়নি৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে যে দফতরের দায়িত্বে আছেন, সেই সমস্ত দফতরে এখন দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে বলে দাবি শঙ্কর ঘোষের । দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক ।
এ দিন বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ জলপাইগুড়ি জেলার ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে আসেন । ওই আধিকারিক না থাকায় শঙ্কর ঘোষকে বসতে বলা হয় । কিন্তু প্রায় 50 মিনিট পর সংশ্লিষ্ট দফতরের পক্ষ থেকে শঙ্কর ঘোষকে জানানো হয় অতিরিক্ত জেলা শাসক ফিল্ড ভিজিটে বেরিয়েছেন, তিনি এখন দফতরে আসতে পারবেন না ৷ এর পরেই শঙ্কর ঘোষ সেখান থেকে চলে যান । শঙ্কর ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘‘অতিরিক্ত জেলা শাসককে আমার সঙ্গে দেখা করতে না বলা হয়েছে, তাই 50 মিনিট অপেক্ষা করানোর পরেও তিনি এলেন না ৷’’
শঙ্কর ঘোষ আরও অভিযোগ করেন, ‘‘এই জমি কেলেঙ্কারিতে শুধু তৃণমূল নেতারা জড়িত নন, এর সঙ্গে ভূমি দফতরের আধিকারিকরাও জড়িত । সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করুক । সরকার পরিবর্তনের পরে এই অধিকারিকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে । শুধু তাই নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল নেতাদের দখল করা জমির নির্মাণ ভেঙে দিচ্ছেন বলছেন ঠিকই ৷ কিন্তু সীমানা প্রাচীর ভাঙা হয়েছে । আর কিছুই করা হয়নি ।’’
তিনি বলেন, ‘‘গাজোলডোবায় কত জমি সরকারের আছে, তা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক সরকার । জমি কেলেঙ্কারিতে অনেক সরকারি অফিসার জড়িত । বিজেপি কর্মীর জমির কাগজ থাকা সত্ত্বেও তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে ।’’