কলকাতা, 10 এপ্রিল: বুধবার সকালে জলপাইগুড়িতে নির্বাচনী প্রচারে যোগ দিতে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌছন শুভেন্দু অধিকারী ৷ সেখান থেকে বিমানে বাগডোগরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি ৷ তার আগে এনআইএ-র বিরুদ্ধে তৃণমূলের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি নিয়েও মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা ৷ তৃণমূল কতবার কী কারণে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে, সেই হিসেব তুলে ধরেন তিনি ৷ পাশাপাশি রাজ্য সরকারের রাম নবমীর ছুটি দেওয়া নিয়ে এই মন্তব্য করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ৷ তিনি "ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না ৷ এখন ঠেলায় পড়েছে ৷"
লোকসভা নির্বাচনের আবহে এনআইএ নিয়ে সরগরম রাজ্যরাজনীতি ৷ মঙ্গলবার হুগলিতে অভিষেক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এনআইএ এসপি-কে না সরানো হলে সরকার সুপ্রিম কোর্টে যাবে ৷ এ নিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, "আমার বিরুদ্ধে সাত বার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে ৷ ডালখোলা আর শিবপুর এবং রিষড়াতে রাম নবমীর দিনে হামলার ঘটনায়
এনআইএ তদন্ত বন্ধ করার জন্য রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল ৷ শেখ শাহাজাহানের সিবিআই হেফাজত আটকাতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল ৷ কেষ্ট মণ্ডলকে বাঁচাতেও সুপ্রিম কোর্ট গিয়েছিল ৷ কিন্তু লাভ হয়নি ৷" শুভেন্দু দেশের সংবিধান, আদালত এবং আইনে উপর বিশ্বাস রাখার কথা উল্লেখ করেন ৷
এদিন তাঁকে সাংবাদিকরা পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করলে বিজেপি নেতা বলেন, "আমার কাছে সব নথিপত্র আছে ৷ আমাদের এক বিধায়ক বিধানসভায় এই প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন ৷ তিনিই নথিপত্র দিয়েছেন ৷ আমি সঙ্গে ছিলাম ৷ পাহাড়ে 400 মতো নিয়োগ হয়েছে ৷ পুরোটাই স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়ম না-মেনে জিটিএ থেকে হয়েছে ৷ নিয়োগের যে নিয়ম আছে অ্যাকাডেমিক, এসসি, এসটি, ওবিসি ভাইবা- সেই নিয়ম ওখানে মানা হয়নি ৷ এর সঙ্গে অনীত থাপা যুক্ত ৷ বিনয় তামাংও যুক্ত, তবে বিনয়ের অত বুদ্ধি নেই ৷ এইসব কাণ্ডকারখানায় অনীত থাপার সঙ্গে অরূপ বিশ্বাস এবং পার্থ ভৌমিক রয়েছেন ৷ অরূপ বিশ্বাস সরাসরি যুক্ত ৷ নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল টাকা অরূপ বিশ্বাসের হাত দিয়ে কলকাতায় এসেছে ৷"
সম্প্রতি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বীরভূমে লিড দিতে না পারলে তিনি পদত্যাগ করবেন ৷ এই প্রসঙ্গে অবশ্য শুভেন্দু বলেন, "ওর কথার উত্তর আমি দিই না ৷ ও যার আলোকে আলোকিত, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আমি তাঁকে হারিয়েছি ৷"
আরও পড়ুন: