কলকাতা, 14 জুলাই: রাজ্যে চার উপনির্বাচনে হারের পর নিজেদের খামতি স্বীকার করে নিল বঙ্গ বিজেপি ৷ "রাজনৈতিক সংগঠন বলতে যেটা বোঝায় সেটা আমরা তৈরি করতে পারিনি ৷" উপনির্বাচনের হারের পর নিজেদের খামতি স্বীকার করে এমনই বার্তা দিলেন বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। এরপরও অবশ্য রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে সরকার পড়ে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শমীক ৷
পশ্চিমবঙ্গের চার বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল সামনে এসেছে শনিবার। আর ফলেই স্পষ্ট রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা এবং মানিকতলা এই চার কেন্দ্রই তৃণমূলের দখলে গিয়েছে। চার দিকেই এখন সবুজ আবিরের ঝড়। কৃষ্ণ কল্যাণীর হাত ধরে এই প্রথমবার রাজগঞ্জ কেন্দ্রে খাতা খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগে বরাবরই এই বিধানসভাটি কংগ্রেসের দখলেই ছিল। এই উপনির্বাচনে কোনওভাবেই কোনও সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি। এমনকি জেতা আসনও হাত ছাড়া হল বিজেপির।
তৃণমূল কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শমীক ভট্টাচার্য এও বলেন, "আজ যা আনন্দ করার করে নিক, কারণ পরের বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। 2026-এ বিধানসভা নির্বাচন হবে না । বাংলার মানুষ 2026-এর আগেই নতুন সরকার পাবে, নতুন সরকার গড়বে।"
আর এই হার নিয়ে বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য জানান, জিতবে বলেই খেলতে নামে খেলোয়াড়। লোকসভা নির্বাচনের পর কোন বিপরীত পরিস্থিতিতে বিজেপিকে লড়তে হয়েছে তা সবার জানা আছে। বিজেপি প্রতিহত করতে পারিনি কারণ মানুষকে আটকে দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, "কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যেভাবে পরিচালিত হতে হলো সেটা সবাই দেখেছে। যেভাবে সন্ত্রাস হয়েছে সেটাও সকলের জানা। গুলি, বোমার পাশে রুখে দাঁড়ানোর জন্য যে সংগঠন দরকার সেটা তৈরি হয়নি।"
শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন, "আমরা পরাজিত হয়েছি, তবে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আজকের রাজনৈতিক সংগঠন বলতে যেটা বোঝায় সেটা আমরা তৈরি করতে পারিনি। বোমা, পিস্তলের পালটা তো বোমা, লাঠি হয় না। তবে এগুলিকে প্রতিহত করার জন্য যে ধরনের সংগঠন দরকার সেটা আমরা তৈরি করতে পারিনি। যেভাবে সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে ভোট হয়েছে বা ভোট হয় বাংলায় সেটা বুঝতে হবে। তবে উপনির্বাচনের ফলাফল দিয়ে প্রকৃত ফলাফল বোঝা সম্ভব নয়। আমিও একবার উপনির্বাচনে জিতেছি তাই বলে কি বাংলার মানুষ তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বর্জন করেছিল ?"