কৃষ্ণনগর, 6 মার্চ: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফের প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার ৷ 2024 সালের নির্বাচনে তিনি রানাঘাট থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৷ গত শনিবার রাজ্যে 42টি আসনের 20টিতে নাম ঘোষণা করে বিজেপি ৷ এরপর বুধবার সকালে কৃষ্ণনগর-আমঘাটা ট্রেনলাইনের কাজ পরিদর্শন করলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার ৷ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হলে এবং আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি শুরু হলে এই কাজকর্ম করতে অসুবিধে হবে ৷ তাই তার আগেই রেললাইনের কাজ দেখতে এসেছেন বলে জানালেন জগন্নাথ সরকার ৷
এই পরিদর্শন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি সাংসদ হওয়ার পরেই একবার ডিআরএম, একবার জিএমকে এনে দেখিয়েছি ৷ তারপর তাঁরা সিগন্যাল দিয়েছেন ৷ রেলমন্ত্রী এই প্রকল্পটি নবদ্বীপের স্বরূপগঞ্জ ঘাট পর্যন্ত প্রকল্প পাশ করেছেন ৷ কিন্তু রাজ্য সরকার যেহেতু জমি অধিগ্রহণ করে দেয়নি ৷ তাই আমঘাটা পর্যন্ত হয়েই থেমে গিয়েছে ৷"
এই ফেব্রুয়ারিতে রেললাইনের উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও কিছু সমস্যার কারণে তাতে দেরি হয়েছে বলে জানালেন বিজেপি সাংসদ ৷ জগন্নাথ সরকার বলেন, "দ্রুত জোর কদমে কাজ চলছে ৷ এই রেল নবদ্বীপবাসীর স্বপ্নের প্রকল্প ৷ এটা চালু হলে, আমি মনে করব আমার পরিশ্রম সার্থক হবে ৷"
উল্লেখ্য 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির দলীয় টিকিটে লড়াই করেন জগন্নাথ সরকার ৷ রানাঘাট কেন্দ্র থেকে সাংসদ হওয়ার পরেই কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেন ৷ সেই মর্মে পূর্ব রেলের ডিআরএম থেকে শুরু করে একাধিক উচ্চপদস্থ রেল আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷ সেই অনুযায়ী রেল দফতরের আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শনে আসেন ৷ পরবর্তীকালে ছাড়পত্র পেয়ে শুরু হয় লাইন তৈরির কাজ ৷
প্রাথমিকভাবে কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপের স্বরূপগঞ্জ ঘাট পর্যন্ত এই রেল লাইন চালু হওয়ার কথা হলেও জমি জটে দীর্ঘদিন ধরে কাজ আটকে থাকে ৷ পরবর্তীকালে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার যৌথ তত্ত্বাবধানে শুরু হয় জমির অধিগ্রহণ ৷ যদিও প্রাথমিক ভাবে কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা পর্যন্ত শুরু হবে এই রেল চলাচল ৷ তবে সাংসদের আশ্বাস, এই ট্রেন চলাচল শুরু হলে সাধারণ মানুষের প্রচুর সুবিধে হবে ৷ একদিকে যেমন টোটো চালকদের আয় অনেকটা বেড়ে যাবে, অন্যদিকে পর্যটকরাও অনেকটা স্বস্তি পাবে ৷
আরও পড়ুন: