রানাঘাট, 16 মে: গত 13 এপ্রিল ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে নদিয়ার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে। ভোট গ্রহণ পর্বের পর ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট রানাঘাট কলেজের স্ট্রংরুমে রাখা হয়েছে। রয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে বুধবার রাতে স্ট্রংরুমের সিসিটিভি বন্ধের অভিযোগ ওঠে ৷ এরপরই শাসক-বিরোধী দুই শিবিরেরই প্রার্থী এদিন স্ট্রংরুম পরিদর্শন করেন ।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর অভিযোগ, রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি ছাড়া এসডিও কী করে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে স্ট্রংরুমে যেতে দিয়েছিলেন ? যদিও এর কিছুক্ষণ আগে তৃণমূল প্রার্থীও স্ট্রংরুমের কাছে এসেছিলেন ৷ পরে সেখান থেকে বেরিয়েও যান তিনি। পরবর্তীতে ফের তিনি এসে উপস্থিত হন রানাঘাট কলেজে । সেখানে গিয়ে তিনি অভিযোগ করে জানান, বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে যখন স্ট্রংরুমে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল, তখন স্ট্রংরুমের পাঁচটি সিসি ক্যামেরাই বন্ধ ছিল। আর এখানেই তাঁর সন্দেহ, এসডিও কোনও ফন্দি এঁটেছেন বিজেপির সঙ্গে ।
মুকুটমণির দাবি, "এই চিত্র নতুন কিছু নয় ৷ উত্তরপ্রদেশেও এমন ছবি দেখা গিয়েছে।" অন্যদিকে, পালটা অভিযোগ করেছেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীও । তিনি জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীও সংখ্যায় কম রয়েছে । পাশাপাশি তিনি জানান, তাঁকে জানানো হয়েছিল প্রার্থীদের স্ট্রংরুমে যেতে দেওয়া হবে । যদিও তখন কোনও আধিকারিক তাঁর জন্য সময় বরাদ্দ করেননি । পরবর্তীতে তিনি স্ট্রংরুমে যাওয়ার কথা জানালে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হয় । পরবর্তীতে তিনি যখন জানান, তাঁকে ঢুকতে না-দিলে তিনি আদালতে গিয়ে ব্যবস্থা নেবেন, তখন তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয় ।
জগন্নাথ সরকারের অভিযোগ, তিনি গিয়ে দেখেন স্ট্রংরুমের পাঁচটি সিসি ক্যামেরাই বন্ধ। আর তাতেই তিনি সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, "তৃণমূল সবই পারে। পঞ্চায়েত ভোটে হারা প্রার্থীকে প্রশাসনের মদতে জিতিয়েছিল, এবারও সেরকমই অভিসন্ধি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে কমিশনের উচিৎ স্ট্রংরুমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সক্রিয় করা ।" যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির ৷
আরও পড়ুন