দার্জিলিং, 29 এপ্রিল: ভোট পরবর্তী হিংসা! ঘটনায় গুরুতর জখম দুই মহিলা-সহ 7 জন। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ও তাঁর পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ। অভিযোগের তির রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় সোমবার সকাল থেকেই বনধের সমর্থনে ময়দানে নামেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। প্রথমে 31 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। যার ফলে জাতীয় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে মাটিগাড়া থানার সামনে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। যদিও বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, জোর করে বাটি করা এলাকার দোকানপাট বন্ধ করানোর।
গতকালই প্রতিবাদে মাঝরাতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা কর্মী-সমর্থকদের। পাশাপাশি আজ 12 ঘণ্টার বনধের ডাক দেওয়া হয় বিজেপির তরফে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
কী ঘটে গতকাল-ঘটনাটি শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়া ব্লকের খোলাইভক্তরি গ্রামে। অভিযোগ, খোলাইভক্তরি গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতি নন্দ কিশোর ঠাকুরের উপর রবিবার রাতে হামলা চালায় এলাকারই তৃণমূলের কংগ্রেস কর্মীরা। ভোটে বিজেপির হয়ে প্রচার, নির্বাচনী বুথ কার্যালয় খোলা ও জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ায় তাঁর উপর হামলা করেছে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা বলে অভিযোগ। রবিবার রাতে নন্দ কিশোরের বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্র, লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়।
পরিবারের বাকি সদস্যরা তাঁকে বাঁচাতে গেলে তাঁদের উপরেও হামলা চালায় তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডাবাহিনী বলে অভিযোগ। ঘটনায় নন্দ কিশোর ঠাকুর ছাড়াও রাজেশ যাদব, মনোজ পাসওয়ান, শুভ ঠাকুর, ফুল ঠাকুর, সঞ্জয় ঠাকুর, সঞ্জিব ঠাকুর জখম হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর মাটিগাড়া থানায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহম্মদ আব্দুল, কৈলাস মণ্ডল, সাগর মণ্ডল, বিজয় মণ্ডল-সহ মোট 11 জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রতিবাদে রাতেই মাটিগাড়া থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি ৷
বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি অভিজিৎ দাস বলেন, "ভোটের পর থেকেই আমাদের কর্মীর উপর হামলা, হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। আক্রমণের ভয়ে আমরা থানাতেও আগে জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ পদক্ষেপ করেনি। আর সেই সুযোগে আজ তৃণমূলের গুন্ডারা হামলা চালাল। বিজেপি করে দেখে আমাদের কর্মীদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। মহিলাদেরও ছাড়া হয়নি।"
বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডল বলেন, "লাগাতার এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। আমাদের কর্মীর উপর অমানবিক আক্রমণ করা হয়েছে। সেজন্য আমরা 12 ঘণ্টার মাটিগাড়া বনধের ডাক দিয়েছি।" এই বিষয়ে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, "আমার কাছে হামলার কোনও খবর নে ই৷ যতদূর শুনেছি সেটা পরিবারের মধ্যে ঝামেলা। এখানে দলের কোনও বিষয় নেই। আইন আইনের পথে চলবে।"
আরও পড়ুন: