খয়রাশোল (বীরভূম), 28 এপ্রিল: "লগ্নভ্রষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার", মনোনয়ন বাতিল নিয়ে দেবাশিস ধরকে কটাক্ষ তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের। তিনি বলেন, "পাত্র এসে বসার আগে বন্ধুর সঙ্গে বিয়ে হয়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার।" শনিবার, খয়রাশোলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তারকা প্রার্থী তথা অভিনেত্রী শতাব্দী রায় ৷
বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে 3 বারের জয়ী সাংসদ শতাব্দী রায়। চতুর্থবার অনুব্রতহীন এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল-কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী তিনি ৷ তাঁর বিপরীতে বিজেপি রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশ কর্তা আইপিএস দেবাশিস ধরকে প্রার্থী করেছিল। গত 2 এপ্রিল থেকে জোর কদমে গ্রামে গ্রামে, শহরে প্রচার শুরু করেছিলেন তিনি। গত 23 এপ্রিল সিউড়িতে জেলা শাসকের দফতরে বিজেপির প্রতীকে মনোনয়ন পত্র জমাও দিয়েছিলেন দেবাশিসবাবু ৷ কিন্তু 26 এপ্রিল স্ক্রুটিনির দিন দেখা গেল নির্বাচন কমিশন তাঁর মনোনয়ন বাতিল করে দেয়।
কারণ, পুলিশের চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেও নো-ডিউসের ক্লিয়ারেন্স তিনি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পাননি ৷ যদিও, মনোনয়ন বাতিলের আশঙ্কা থেকেই 25 এপ্রিল, অর্থাৎ মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষদিন বিজেপি দেবতনু ভট্টাচার্যকে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় ৷ টানা প্রচার, দেওয়াল লিখন, ব্যানার, পোস্টারের পর দেবাশিসবাবুর মনোনয়ন বাতিল নিয়ে উচ্ছ্বসিত ঘাসফুল শিবির ৷ অন্যদিকে, স্বাভাবিকভাবেই মনোবল ভেঙে গিয়েছে বিজেপির জেলা নেতা-কর্মীদের।
এই প্রসঙ্গে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় বলেন, "এমন সবাই হুল্লোড় করছিল যে কী করে ফেলত ? আমারও দেখার ইচ্ছে ছিল। তবে আমার খারাপ লেগেছে ৷ একদম নমিনেশন পর্যন্ত পৌঁছে একটা মানুষ যদি সেমিফাইনালে গিয়ে আটকে যায় সেইরকম খারাপ লাগা কোথাও নেই ৷" এরপরেই কার্যত কটাক্ষ করে অভিনেত্রী বলেন, "এইরকম আগে কারও ক্ষেত্রে হয়েছে কি না আমার জানা নেই ৷ লগ্নভ্রষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো ৷ বিয়ের পীড়িতে পাত্র এসে বসার আগে বন্ধুর সঙ্গে বিয়ে হয়ে যাওয়ার মতো। সেই রকম হয়ে গিয়েছে ব্যাপারটা।"
প্রসঙ্গত, মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন দেবাশিস ধর। আগামিকাল, সোমবার এই মামলার শুনানি। সেইদিনই এই কেন্দ্রে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
আরও পড়়ুন: