ETV Bharat / state

বিধাননগরে নির্মাণ আইনত কম বেআইনি বেশি, অভিযোগ সব্যসাচী দত্তর - Illegal Construction in Bidhannagar

Illegal Construction in Bidhannagar: বিধাননগরে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সরব হয়েছেন ওই পুরনিগমের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত ৷ তাঁর দাবি, বিধাননগরে এখন আইন মেনে নির্মাণ কম হয় ৷ পরিবর্তে বেআইনি নির্মাণ বেশি হয় ৷ বেআইনি নির্মাণ আটকাতে না পারা নিয়ে তিনি দায় চাপিয়েছেন বর্তমান মেয়রের উপরই ৷

Bidhannagar Corporation Chairman Sabyasachi Dutta
বিধাননগর পুরনিগমের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 27, 2024, 8:23 PM IST

বিধাননগর, 27 জুন: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সরাসরি বিধাননগর পুরনিগমের মেয়রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন সেখানকার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত ৷ তাঁর কথায়, ‘‘বিধাননগরে নির্মাণ আইনত কম, বেআইনি বেশি ।’’ এর দায় তিনি ঠেলেছেন মেয়র, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র (বিল্ডিং প্ল্যান) ও পুর-কমিশনারের উপর ৷

বিধাননগরে নির্মাণ আইনত কম বেআইনি বেশি, অভিযোগ সব্যসাচী দত্তর (ইটিভি ভারত)

তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমার কাছে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ এলে আমি এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র (বিল্ডিং প্ল্যান), পুর-কমিশনার ও মেয়রকে জানিয়েছি । কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছে যে তারা কাজ বন্ধের নোটিশ দিয়েছে ৷’’ কিন্তু বেআইনি নির্মাণ বন্ধের নোটিশ যেখানে দেওয়া হয়েছে, সেখানে নির্মাণকাজ আরও বেশি হয়েছে বলে অভিযোগ সব্যসাচী দত্তর ৷

চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিধাননগরের বেআইনি হকার-রাজ নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ কাঠগড়ায় তুলেছিলেন দমকলমন্ত্রী তথা বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসুকে ৷ সুজিত প্রসঙ্গে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও হকার সমস্যা প্রসঙ্গে সব্যসাচীর বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যা যা বলেছেন, তাতে দ্বিমত করার জায়গা নেই ৷ পুরনো হকারদের মুখ্যমন্ত্রী কোথাও বলেননি তুলে দেওয়ার জন্য ৷’’

বিধাননগরে এখন মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী ৷ 2015 থেকে 2019 ওই পুরনিগমে মেয়র ছিলেন সব্যসাচী ৷ সেই সময় হকার ও হোর্ডিং দেওয়ার জায়গার ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন ৷ নিজের ওয়ার্ডের প্রসঙ্গ টেনে সব্যসাচী বলেন, ‘‘আমার ওয়ার্ড এর সমস্ত হকারের নাম নথিভুক্ত করা আছে ।’’ তাছাড়া তাঁর সময়কালে বিধাননগরে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলতেন বলেও সব্যসাচীর দাবি ৷

বিধাননগরে বেআইনি নির্মাণে আদালতে চলা মামলার প্রসঙ্গও তুলেছেন সেখানকার চেয়ারম্যান ৷ তাঁর দাবি, আদালতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিধাননগরের দু’টো ওয়ার্ড 333টি বেআইনি বিল্ডিং আছে ৷ এটা রাজ্য সরকার হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি চার বছর দায়িত্বে ছিলাম মহামান্য আদালত একটা কেসেও আমাকে ঘোষণা শুনতে হয়নি, আমি মানে পুরনিগমকে ৷ এখন তো রোজ মহামান্য আদালতে গেলে ঘাড় ধাক্কা খাই আমরা ৷ দুটো গাল চড় খেতে খেতে তো লাল হয়ে গিয়েছে । বেআইনি নির্মাণ বেড়েছে মানে ? বেআইনি নির্মাণটাই নির্মাণ ।’’

প্রশ্ন উঠছে, চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি কেন কিছু করছেন না ৷ এই বিষয়ে সব্যসাচী দত্তর বক্তব্য, ‘‘আমি চেয়ারম্যান ৷ আমার করণীয় হচ্ছে, আমার কাছে কেউ অভিযোগ করলে আমি ডিপার্টমেন্টের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র (বিল্ডিং প্ল্যান), তারপরে কমিশনার ও একই সঙ্গে মাননীয় মেয়রকে সেই চিঠি ফরওয়ার্ডিং লেটার করে দিই । এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদেরকেও আমি এই লেটার পাঠিয়ে দিই আমি ব্যবস্থা এটাই নিয়েছি ।’’

এর পরে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করার দায়িত্ব মেয়র, সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়র ও পুরকমিশনারের বলেই তাঁর দাবি ৷ তিনি আরও জানান, কিভাবে নির্মাণ বন্ধ করা যায়, তার উপায় বলে দেওয়ার পরও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি ৷

বিধাননগর, 27 জুন: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সরাসরি বিধাননগর পুরনিগমের মেয়রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন সেখানকার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত ৷ তাঁর কথায়, ‘‘বিধাননগরে নির্মাণ আইনত কম, বেআইনি বেশি ।’’ এর দায় তিনি ঠেলেছেন মেয়র, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র (বিল্ডিং প্ল্যান) ও পুর-কমিশনারের উপর ৷

বিধাননগরে নির্মাণ আইনত কম বেআইনি বেশি, অভিযোগ সব্যসাচী দত্তর (ইটিভি ভারত)

তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমার কাছে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ এলে আমি এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র (বিল্ডিং প্ল্যান), পুর-কমিশনার ও মেয়রকে জানিয়েছি । কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছে যে তারা কাজ বন্ধের নোটিশ দিয়েছে ৷’’ কিন্তু বেআইনি নির্মাণ বন্ধের নোটিশ যেখানে দেওয়া হয়েছে, সেখানে নির্মাণকাজ আরও বেশি হয়েছে বলে অভিযোগ সব্যসাচী দত্তর ৷

চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিধাননগরের বেআইনি হকার-রাজ নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ কাঠগড়ায় তুলেছিলেন দমকলমন্ত্রী তথা বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসুকে ৷ সুজিত প্রসঙ্গে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও হকার সমস্যা প্রসঙ্গে সব্যসাচীর বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যা যা বলেছেন, তাতে দ্বিমত করার জায়গা নেই ৷ পুরনো হকারদের মুখ্যমন্ত্রী কোথাও বলেননি তুলে দেওয়ার জন্য ৷’’

বিধাননগরে এখন মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী ৷ 2015 থেকে 2019 ওই পুরনিগমে মেয়র ছিলেন সব্যসাচী ৷ সেই সময় হকার ও হোর্ডিং দেওয়ার জায়গার ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন ৷ নিজের ওয়ার্ডের প্রসঙ্গ টেনে সব্যসাচী বলেন, ‘‘আমার ওয়ার্ড এর সমস্ত হকারের নাম নথিভুক্ত করা আছে ।’’ তাছাড়া তাঁর সময়কালে বিধাননগরে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলতেন বলেও সব্যসাচীর দাবি ৷

বিধাননগরে বেআইনি নির্মাণে আদালতে চলা মামলার প্রসঙ্গও তুলেছেন সেখানকার চেয়ারম্যান ৷ তাঁর দাবি, আদালতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিধাননগরের দু’টো ওয়ার্ড 333টি বেআইনি বিল্ডিং আছে ৷ এটা রাজ্য সরকার হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি চার বছর দায়িত্বে ছিলাম মহামান্য আদালত একটা কেসেও আমাকে ঘোষণা শুনতে হয়নি, আমি মানে পুরনিগমকে ৷ এখন তো রোজ মহামান্য আদালতে গেলে ঘাড় ধাক্কা খাই আমরা ৷ দুটো গাল চড় খেতে খেতে তো লাল হয়ে গিয়েছে । বেআইনি নির্মাণ বেড়েছে মানে ? বেআইনি নির্মাণটাই নির্মাণ ।’’

প্রশ্ন উঠছে, চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি কেন কিছু করছেন না ৷ এই বিষয়ে সব্যসাচী দত্তর বক্তব্য, ‘‘আমি চেয়ারম্যান ৷ আমার করণীয় হচ্ছে, আমার কাছে কেউ অভিযোগ করলে আমি ডিপার্টমেন্টের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র (বিল্ডিং প্ল্যান), তারপরে কমিশনার ও একই সঙ্গে মাননীয় মেয়রকে সেই চিঠি ফরওয়ার্ডিং লেটার করে দিই । এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদেরকেও আমি এই লেটার পাঠিয়ে দিই আমি ব্যবস্থা এটাই নিয়েছি ।’’

এর পরে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করার দায়িত্ব মেয়র, সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়র ও পুরকমিশনারের বলেই তাঁর দাবি ৷ তিনি আরও জানান, কিভাবে নির্মাণ বন্ধ করা যায়, তার উপায় বলে দেওয়ার পরও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.