কলকাতা, 14 মার্চ: ভবানীপুরের মৃত ব্যবসায়ী ভাবো লাখানির হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডে এবার রহস্যময়ী নারীর যোগ! কিন্তু কে এই নারী ? সেই রহস্য উন্মোচনে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার ৷ সূত্রের খবর, ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় ওই নারীর নাকি সরাসরি যোগ রয়েছে ৷
পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পর নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বুধবার রাত থেকে জেরা শুরু করে ৷ এরপর অনির্বাণ গুপ্তকে লাগাতার জেরার পর জানা যায় এক রহস্যময়ী নারীর কথা। এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা যে তথ্য সামনে পেয়েছেন, তা হল অনির্বাণ গুপ্তের বান্ধবী ছিলেন ওই মহিলা। তদন্তে জানা গিয়েছে, পুরো ঘটনার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীকে নিমতায় ডেকে হত্যার পর ওয়াটার রিজার্ভারের নীচে পুঁতে দেওয়া ৷ সেখানে রাতারাতি পাঁচিল তুলে দেওয়ার ঘটনায় সরাসরি যোগ রয়েছে ওই রহস্যময়ী নারীর।
তদন্ত করে আরও জানা গিয়েছে, অনির্বাণ গুপ্ত মৃত ভাবো লাখানির কাছ থেকে 50 লক্ষ টাকা পেতেন। আর তার জন্যই এই খুন, নাকি অন্য কিছু তদন্ত করে দেখছেন গোয়েন্দারা ৷ এখনও পর্যন্ত তদন্তে উঠে এসেছে অনির্বাণ গুপ্তের এই বান্ধবীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলতি মাসেই ভাবো লাখানির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে 20 লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল। তদন্তকারীদের যে প্রশ্নটি ভাবাচ্ছে তা হল ভাবো লাখানির অ্যাকাউন্ট থেকে এই টাকা থেকে কীভাবে অনির্বাণ গুপ্তের বান্ধবীর অ্য়াকাউন্টে এল?
শুধুই কি ব্যবসায়িক শত্রুতা ও টাকা-পয়সার গল্প, নাকি নেপথ্য়ে রয়েছে অন্য কোনও নাটকীয় মোড়? জানার জন্যই এবার অনির্বাণ গুপ্ত এবং সুমন দাসকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা। পাশাপাশি ওই রহস্যময়ী নারীর খোঁজ ইতিমধ্যেই পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁকে লালবাজারে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর 24 পরগনার নিমতা থানা এলাকার যে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে তার মালিক মৃত ব্যবসায়ীর পরিচিত। তাঁরা একসঙ্গেই ব্যবসা করতেন।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে এই খুন। এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অনির্বাণ গুপ্ত ও সুমন দাস নামে দু'জনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছি। এই ঘটনায় আর কে কে যুক্ত রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: