কলকাতা, 24 মে: ভোট গ্রহণের আগে নন্দীগ্রামে খুনোখুনি ও রক্তপাতের ঘটনায় রিপোর্ট চাইল রাজভবন ৷ শুক্রবার সকালে রাজভবনের তরফে রাজ্যের কাছ থেকে মহিলা বিজেপি কর্মী খুন এবং নন্দীগ্রামে অশান্তির ঘটনায় অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে ৷ রাজ্যপাল কোনওভাবেই রক্তপাতে বিশ্বাসী নয় ৷ রক্তপাত বরদাস্ত করা হবে না বলেই স্পষ্ট জানানো হয়েছে রাজভবনের পক্ষ থেকে ৷
বুধবার রাতের খুনের ঘটনায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ? আর যদি নেওয়া হয়ে থাকে তারপরেও কেন অশান্তি থামানো যাচ্ছে না, সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মনসাবাজারে মহিলা বিজেপি কর্মী রথীবালা আড়িকে বাঁশ দিয়ে পেটানোর পর কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৷ এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হবে শনিবার, 25 মে ৷
মৃতের পরিবারের তরফে ইতিমধ্যে 25 জনের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ অভিযুক্তদের মধ্যে নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের অন্যতম নেতা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভার নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান-সহ অধিকাংশই তৃণমূল নেতা ৷ যা নিয়ে গত দু'দিন ধরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি ৷ এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার ওই ঘটনায় রাজভবনের তথা রাজ্যপালের রিপোর্ট চাওয়া নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলেই বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মত ৷
আরও পড়ুন:
এছাড়া পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় রাজ্যপালকে বরাবরই শান্তির বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে। এমনকী এবারের লোকসভা নির্বাচনে তিনি ময়দানে থাকার আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে তা বাস্তবায়িত হয়নি। রাজভবনে পিসরুম খুলে রাজ্যের নাগরিকদের অভাব অভিযোগ শুনতে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের বার্তা দেওয়া হলেও প্রথম দফার ভোটগ্রহণের দিন ছাড়া আজ পর্যন্ত কোনওদিনই পিসরুমে রাজ্যপালকে আসতে দেখা যায়নি ৷
অন্যদিকে, খুনের ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সোনাচূড়ায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে, গোটা দিন জুড়ে অবরোধ-বিক্ষোভ চলে।
আরও পড়ুন: