কলকাতা, 18 জুলাই: রাজ্য কমিটির বৈঠক থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক আগেই বিরাট আকার নিয়েছে। এবার তাতে নতুন মোড় এল । একটি সূত্রের দাবি, শুভেন্দু ঠিক কী বলেছেন, তা জানতে চেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ৷ এই মর্মে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে দিল্লি থেকে ফোনও এসেছে বলে খবর ৷ তবে ফোনের বিষয়টি অস্বীকার করেন রাজ্য সভাপতি ।
তাঁর দাবি, বিজেপি ধর্ম, বর্ণ, সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু এই ভিত্তিতে কাউকে পৃথক করে দেখে না ৷ বিজেপি সবার জন্য ৷ পাশাপাশি বৈঠকে অর্জুন যা বলেছেন, তা যে দলের কার্যপদ্ধতির সঙ্গে বেমানান সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন সুকান্ত ৷
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, বুধবার সায়েন্স সিটিতে শুভেন্দু অধিকারী যেই বক্তব্য রেখেছিলেন তার ব্যাখ্যা চেয়ে সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করা হয়েছে দিল্লি থেকে। সুকান্ত অবশ্য ফোনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, "শুভেন্দু অধিকারী আন্তরিক ব্যথা থেকেই ওই বক্তব্য রেখেছিলেন । পরে তার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি টুইটও করেছিলেন। বিজেপি এত কাজ করার পরেও সমাজের একটি বিশেষ স্তরের মানুষের ভোট পাচ্ছে না। সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে ভোট হচ্ছে ৷ পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু এলাকাগুলিতে রাস্তা নেই ৷ জল নেই ৷ তবুও শুধুমাত্র ধর্মীয় সুড়সুড়ির কারণে তাঁরা ভোট দিচ্ছেন ৷"
অন্যদিকে, বুধবার রাজ্য কমিটির বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে এসে বিজেপি নেতা অর্জুন সিং জানান, বুথ স্তরে বিজেপির কোনও সংগঠন নেই ৷ একেবারে শূন্য হয়ে গেছে নিচুতলার সংগঠন। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "এই ধরনের বিষয় দলের ভিতরেই বলা ভালো ৷ কোনও জায়গায় যদি সংগঠন একেবারে শূন্য হয়ে যায়, তাহলে সেই এলাকার নেতাদেরই সংগঠনকে আবার শক্তিশালী করার দ্বায়িত্ব নিতে হবে ৷ এই দ্বায়িত্বটা সবার ৷ সংবাদমাধ্যমের সামনে এই ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয় ৷ যদি কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে সেটা নেতৃত্ব বা সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে বলা যেতে পারে ৷"
অন্য একটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বিজেপির কর্মীদের কাজের প্রতি আগ্রহ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাঁরা চেষ্টা করেছেন। অনেক জায়গায় অনেক রকম পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন হিংসার ভ্রুকুটি এড়িয়ে তাঁরা চেষ্টা করেছেন।"