কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি: দীর্ঘ 20-25 বছর কলেজ শিক্ষকতা করেও স্থায়ী পদের অধ্যাপকের বেতনের চার ভাগের এক ভাগ বেতন । এমনকী পেনশন এবং সামাজিক সুরক্ষা নেই । তাই নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো-সহ একাধিক বিষয় বিবেচনা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে 'আবদার' করলেন তৃণমূলপন্থী অধ্যাপক সংগঠন বেঙ্গল এলিজিবল কলেজ ও ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন। এদিন তাঁরা কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই সমস্যার কথাগুলো তুলে ধরেন। উপস্থিত ছিলেন সভাপতি চন্দন করণ, সম্পাদক নীলোৎপল জানা, বিজয়া মিশ্র, সুমন দে।
এই সংগঠনের সদস্য়রা উল্লেখ করেন, 2019 সাল পর্যন্ত এসএসিটি-র অধ্যাপকদের বেতন ছিল কমবেশি 25 হাজার টাকা । 2020 সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা বাড়িয়ে করেন 35 হাজার টাকা। বর্তমানে 35 হাজার টাকা বেতন পান 10 বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরত অধ্যাপকরা । 31 হাজার টাকা পান 10 বছরের নীচে কর্মরত অধ্যাপকরা । 25 হাজার টাকা বেতন পান স্যাক অধ্যাপকরা । প্রতি ক্ষেত্রেই 3 শতাংশ বেতন বৃদ্ধি হয় । কোনও পেনশন বা প্রভিডেন্ট ফান্ড নেই । শুধু অবসরকালীন গ্র্যাচুইটি বাবদ পাবেন 5 লক্ষ টাকা।
সদস্যরাও আরও জানান, অধ্যাপকদের অবস্থা অত্যন্ত করুণ ৷ দিনের পর দিন আমাদের সমস্যা সমাধানের জন্য আবেদন করছি । নির্দিষ্টভাবে সরকারি অর্ডার বের করার কথাও বলেছেন তাঁরা । ন্যূনতম বেতন বেসিক পে 57,700 টাকা দিতে হবে। পাশাপাশি পেনশন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও জানান । গ্র্যাচুইটি কম করে 10 লাখ টাকার বেশি দিতে হবে। অবসরের বয়স 60 বছর থেকে বাড়িয়ে 65 বছর করার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা ৷
সংগঠনের তরফে বিজয়া মিশ্র বলেন, "এই আবেদনগুলো মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চায় সংগঠনের সদস্যরা । শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে একাধিকবার বলেও কোনও ফল হয়নি ৷ শাসকপন্থী সংগঠন হয়েও সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে আন্দোলন, অবরোধ পথে নামার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে আমাদের এই 'আবদার'গুলো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটু বিবেচনা করুন।"
আরও পড়ুন: