বোলপুর, 23 ফেব্রুয়ারি: এক সময় ঐতিহ্যবাহী এই স্টেশনে কবি গুরুর পাশাপাশি পা রেখেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের মতো ব্যক্তিত্বরা ৷ আসলে এই স্টেশনে নেমেই শুরু হয় আনন্দ নিকেতনের যাত্রা ৷ এ হেন বোলপুর-শান্তিনিকেতন স্টেশনকে এবার কেন্দ্রের উদ্যোগে সাজানো হচ্ছে ঢেলে ৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা অনুযায়ী অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় ঢেলে সাজানো হচ্ছে বোলপুর-শান্তিনিকেতন স্টেশনকে ৷ সেই কাজের গতি কতটা এগিয়েছে, তা ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে নজরদারিও করছে রেল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত এই স্টেশন মডেল স্টেশন হিসেবে গড়তে 21 কোটি 10 লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ৷
পূর্ব রেলের তরফে বোলপুর-শান্তিনিকেতন স্টেশনের আধুনিক করে সাজানোর দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার জয়কিশোর কুমার বলেন, "এই স্টেশনের সম্পূর্ণ নকশা বদলে যাবে ৷ ওয়ারটার ফাউন্ডেশন-সহ আধুনিক হোটেল, পার্কিং, রাস্তা, লাউঞ্চার, প্লাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে ৷" ইতিমধ্যেই অমৃত ভারত রেল স্টেশন প্রকল্পের আওতায় দেশজুড়ে 1275টি স্টেশনকে আনা হয়েছে। এই সকল স্টেশনের উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণ করা হবে অর্থাৎ, এই স্টেশনগুলি মডেল স্টেশন হিসাবে গড়ে তোলা হবে ৷
এই রাজ্যের 94টি স্টেশন রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায়। প্রসঙ্গত, এই বোলপুর-শান্তিনিকেতন স্টেশনটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বহুবার ব্যবহার করেছেন। পাশাপাশি মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু, বিধানচন্দ্র রায়, ইন্দিরা গান্ধী, অমর্ত্য সেনের মতো দিকপালরাও এসেছেন এখানে ৷ ফলে এই স্টেশনের গুরুত্ব যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ৷ স্টেশনের প্রতি বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের তরফেও ৷ গত বছর ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে 508টি স্টেশনকে ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার প্রতীক বলে বর্ণনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অমৃত ভারত স্টেশন পেতে চলেছে রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশ ৷
আরও পড়ুন:
1. পাথেয় পরমহংসের বাণী, জমানো 18 লক্ষ রামকৃষ্ণ মিশনকে দান পুলিশ কর্মী আব্দুলের
2. সিংহীর নাম কেন সীতা? বিচারপতির প্রশ্নের মুখে প্রশাসন; বদলের প্রস্তাব রাজ্যের
3. শান্তিপুরের তাঁত অতীত, বাজার কাঁপাচ্ছে কচুরিপানা দিয়ে তৈরি শাড়ি