বর্ধমান, 5 জুলাই: আনন্দ যে এইভাবে নিরানন্দে পরিণত হবে, কে জানত! সরকারি অফিসে বসে আইবুড়ো ভাতের ভূরিভোজ করার কারণ কী ? তৃণমূল নেত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হল বিডিওকে ৷ প্রশাসনিক কার্যালয়ে এই ঘটনার কারণ জানতে চেয়ে বর্ধমান 1 নম্বর ব্লকের বিডিও রজনীশ কুমারকে শোকজের নোটিশ পাঠালেন জেলাশাসক ৷ অবশ্য এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিডিও রজনীশ কুমার ৷
How wonderful !
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) July 4, 2024
Pre wedding festivities of Burdwan-I BDO, organized by the Block TMC Leadership within the Panchayat Samiti Office.
The Officer could be seen touching the feet of the TMC Leader, seeking blessings.
This incident of the Purba Bardhaman district isn't an exception,… pic.twitter.com/rnpyliiy3X
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার গোটা বিষয়টি জানতে চেয়ে বিডিওকে শো-কজ করেছেন ৷ একজন প্রশাসনিক আধিকারিক হয়ে একজন বিডিও কীভাবে একজন তৃণমূল নেত্রীকে প্রণাম করেন, সেই বিষয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ৷ বিষয়টি প্রশাসনের একাংশ ভালো চোখে দেখেনি ৷ যদিও এদিন শো-কজের ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি বিডিও রজনীশ কুমার যাদব।
বৃহস্পতিবার, 4 জুলাই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ সেই ভিডিয়োতে দেখা যায় বর্ধমান 1 নম্বর ব্লকের বিডিওর সামনে টেবিলে সাজানো হরেক রকম খাবারদাবার, যাকে মহাভোজের আয়োজন বলাই যায় ৷ তাঁকে মালা পরিয়ে দিচ্ছেন একজন ৷ নিজে হাতে তাঁকে খাবার খাইয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা ৷ বিডিও এক তৃণমূল নেত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছেন ৷ যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায় ৷ যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে 'সৌজন্য' বলে দাবি করা হয়েছিল ৷
এই ঘটনার কথা স্বীকার করে রজনীশ কুমার জানান, আগামী সপ্তাহে তাঁর বিয়ে ৷ তাই পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে তাঁকে ভালোবেসে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল অফিসের একটি ওয়েটিং রুমে ৷ সেখানে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষরা ছিলেন ৷ তৃণমূল নেত্রী মায়ের বয়সি ৷ তিনি আশীর্বাদ করায় বিডিও তাঁর সংস্কার অনুযায়ী তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন ৷ এই ভিডিয়ো সামনে আসার পরই সমালোচনা শুরু হয় ৷ যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷