সন্দেশখালি, 13 ফেব্রুয়ারি: ফের নথি পেশ করতে গড়িমসি ! সন্দেশখালি মামলায় পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করল বসিরহাট আদালত ৷ প্রয়োজনীয় নথি ছাড়াই সোমবার সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয় ৷ এতেই বিচারকের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় মামলার তদন্তকারী আধিকারিককে ৷
সূত্রের খবর, এই নথি জমা না-দেওয়া নিয়ে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবীদের একাংশ ৷ এরপরই বসিরহাট আদালতের বিচারক ক্ষোভ প্রকাশ করে তদন্তকারী আধিকারিককে তিরস্কার করেন, "এটা সন্দেশখালি নয় ! আদালত ৷ পুলিশের এই আচরণ অপদার্থের মতো ৷"
আদালত সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে বসিরহাট থানা থেকে পুলিশের গাড়িতে সন্দেশখালি কাণ্ডে ধৃত সিপিএম নেতা নিরাপদ সর্দারকে নিয়ে আসা হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে ৷ মামলার শুনানি শুরু হলে সওয়াল জবাবে তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, কেস ডায়েরি এবং ফরওয়ার্ড কপি ছাড়াই তাঁর মক্কেল নিরাপদ সর্দারকে আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে ৷ বিষয়টি জানার পরই বিচারক পুলিশের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেন, "আসামিকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আদালতে পেশ করা হয়েছে ৷" তাই প্রয়োজনীয় নথি না-থাকায় থমকে যায় সন্দেশখালি মামলা ৷ রবিবারও অন্য একটি মামলায় ধৃত উত্তম সর্দার ও বিকাশ সিংহকে নথি ছাড়াই পেশ করা হয় এই আদালতে ৷ তখনও বিচারক পুলিশকে ভর্ৎসনা করেন ৷
বিচারক তদন্তকারী আধিকারিককে মামলার যাবতীয় নথি সংগ্রহ করতে ঘড়ি ধরে সময় বেঁধে দেন ৷ তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, শুনানি আটকে থাকবে ৷ এরপরই নথি সংগ্রহে তৎপর হয় পুলিশ ৷ সন্ধ্যার দিকে প্রয়োজনীয় নথি আদালতে এসে পৌঁছয় ৷ তারপর ফের শুনানি শুরু হয় ৷ আদালত সূত্রে খবর, 15 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ৷
নথি দিতে কেন এত গড়িমসি পুলিশের ? কেনই বা প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করতে পারছে না পুলিশ ? তাহলে কি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে ? এমনই সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে ৷ যদিও পুলিশের তরফে এর কোনও সদুত্তর মেলেনি ৷ এদিকে, বসিরহাট থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় ধৃত সিপিএম নেতা নিরাপদ সর্দার দাবি করেন, "পুলিশ অন্যায় করছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে ৷ এ লড়াই গরিবের লড়াই ৷ এ লড়াই চলবে ৷"
আরও পড়ুন: