বাঁকুড়া, 12 ফেব্রুয়ারি: হাতে আর মাত্র দুটো দিন ৷ তারপর বাগদেবীর আরাধনায় মেতে উঠবে রাজ্য। আকাশে বাতাসে আনন্দের ঘনঘটা ৷ কিন্তু এত আনন্দের মধ্যেও মন ভালো নেই বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস এলাকার মৃৎশিল্পীদের। তাঁদের দাবি, অন্য বছরে তুলনায় এ বছর প্রতিমার চাহিদা অনেকটাই কমেছে ৷ যার ফলে প্রতিমা তৈরি করলেও সেই ভাবে বায়না আসছে না ৷ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের ।
সারা বছর মৃৎশিল্পীরা পুজোর দিনগুলোর দিকেই তাকিয়ে থাকেন ৷ কারণ এই সময়টাতেই দুটো বাড়তি পয়সা ঘরে ঢোকে । কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যে হারে বেড়েছে তাতে প্রতিমা তৈরিতেও বেড়েছে খরচের পরিমাণ । আবার একই কারণে কমেছে প্রতিমা কেনার চাহিদা ৷
এই শিল্পে রোজগার সে রকম আসছে না বলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই কাজে আর আসতে চাইছেন না । তাদের বাপঠাকুরদার দেখানো পথে এগোতে সাহস পাচ্ছেন না তাঁরা ৷ ফলে বসন্ত পঞ্চমীর মুখে কালো মেঘের ছায়া বাঁকুড়ার মৃৎশিল্পী মহলে ।
গণেশ মাঝি, সুনীত মাঝি নামে মৃৎশিল্পীরা জানান, আগের তুলনায় বর্তমানে প্রতিমার চাহিদা অনেকটাই কমেছে । তবে যে টাকা খরচ করে প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে, তা বিক্রি না হলে প্রতিমা ঘরেই থেকে যাবে আর বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাঁদের ।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম মূর্তি প্রস্তুতকারকরা আক্ষেপের সুরে জানাচ্ছেন, তাঁদের পূর্বসূরিদের দেখানো পথ যেন আজ অন্ধকারাচ্ছন্ন । ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই কাজ থেকে মুখ ফেরাচ্ছে ৷ ফলে মুখ থুবড়ে পড়ছে এই শিল্প । তবে এই শিল্প আঁধার কাটিয়ে একদিন আলোর পথে অগ্রসর হবে, এই আশাতে এখনও বুক বাঁধছেন প্রতিমার কারিগররা ।
আরও পড়ুন: