কলকাতা, 11 জানুয়ারি: লকার থেকে কোটি টাকার সোনা ও হীরের গয়না চুরির অভিযোগে ব্যাংকেরই এক কর্মী ও তাঁর আত্মীয়কে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ ৷ ধৃতদের নাম মৌমিতা শী ও মিঠুন শী ৷ তাঁরা সম্পর্কে ভাই-বোন ৷ ধৃতদের কাছ থেকে অবশ্য নগদ 26 লক্ষ টাকা ও কিছু গয়না উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ আর উদ্ধার হয়েছে একটি নীলবাতি লাগানো দামি গাড়ি ৷ দু’টি ফ্ল্যাটেরও হদিশ মিলেছে ৷
এই নিয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার ইটিভি ভারতকে বলেন, ‘‘পুরো বিষয়ে তদন্ত চলছে । আরও কেউ যুক্ত থাকতে পারে । তাদের সন্ধান চালানো হচ্ছে ।’’
![Jewelry Theft Case](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/11-01-2025/wb-kol-kp-7209715_11012025164443_1101f_1736594083_738.jpg)
লালবাজার সূত্রে খবর, গত 14 ডিসেম্বর শশী পাসারি কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ব্যাংক ফ্রড সেকশনে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ পাশাপাশি এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয় পার্ক স্ট্রিট থানাতেও । অভিযোগ, পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে শশী পাসারির লকার ছিল ৷ সেই লকার থেকে প্রায় এক কোটি 25 লক্ষ টাকার সোনা ও হীরের গয়না চুরি যায় ৷
![Jewelry Theft Case](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/11-01-2025/wb-kol-kp-7209715_11012025164443_1101f_1736594083_854.jpg)
তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ব্যাংক ফ্রড সেকশন ৷ ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেন তদন্তকারীরা । সেই তদন্তে ব্যাংকের কর্মী মৌমিতা শী-র সম্পর্কে পুলিশ জানতে পারে ৷ দিনকয়েক আগে মৌমিতা ও মিঠুন লেকটাউন এবং কসবা থানা এলাকায় দু’টি ফ্ল্যাট কিনেছেন, সেই তথ্যও প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে ৷
![Jewelry Theft Case](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/11-01-2025/wb-kol-kp-7209715_11012025164443_1101f_1736594083_580.jpg)
তার থেকেই ওই দু’জনের উপর সন্দেহ যায় পুলিশের৷ লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পরই ওই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ সেখানেই দু’জন চুরির কথা স্বীকার করে ৷ এর পরই পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে নগদ প্রায় 26 লক্ষ টাকা, চুরি যাওয়া গয়নার কিছু অংশ, একটি নীলবাতি লাগানো দামি গাড়ি উদ্ধার করে ৷ এখন পুলিশ খতিয়ে দেখছে যে ওই ফ্ল্যাট দু’টি কাদের নামে কেনা হয়েছিল ?
![Jewelry Theft Case](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/11-01-2025/wb-kol-kp-7209715_11012025164443_1101f_1736594083_249.jpg)
তবে পুলিশের অনুমান, এই ঘটনায় ব্যাংকের আরও কোনও কর্মী জড়িয়ে থাকতে পারেন ৷ তাই ধৃতদের জেরা করে পুলিশ এই বিষয়ে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে ৷