কলকাতা, 30 জানুয়ারি: অমর্ত্য সেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের গর্বের দিনে গর্বিত হয়েছিল ওপার বাংলাও । সচিন তেন্ডুলকরের রেকর্ড যখন ভাঙলেন বিরাট কোহলি, তখনও খুশি হয়েছিলেন বাংলাদেশের মানুষ ৷ কলকাতা বইমেলায় এসে দুই বাংলাকে এক সুতোয় বেঁধে এ কথা জানালেন বাংলাদেশের লেখক সাদাত হোসাইন ।
2016 সাল থেকে বইমেলা উপলক্ষে কলকাতায় আসা শুরু লেখকের । সে সময় বাংলাদেশ বইমেলা এবং পরবর্তীকালে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় দেখা যেত লেখককে । কিন্তু ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় বছরে দু'বার না এলেও নিয়ম করে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় প্রত্যেক বছর পাঠকদের কাছে পৌঁছে যান সাদাত হোসাইন । এ বছরেও তার অন্যথা হয়নি ৷ পাঠকদের বইতে সই করতে করতেই ইটিভি ভারতের সঙ্গে কথা বললেন বাংলাদেশি লেখক ।
বইকে মানুষের কাছাকাছি করার লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন দেশ ও শহর ঘুরলেও, ঢাকার পর সাদাতের প্রিয় শহর কলকাতাই ৷ প্রায় 15 বারের বেশি এই শহর ঘুরেছেন তিনি । এই শহর ভালো লাগার অন্যতম কারণ কী ? লেখকের কথায়, "বাংলাদেশের সঙ্গে এই শহরের অনেক মিল আছে । তাই এই শহরকে আমার ভালো লাগে ।"
প্রতি বছর বিশ্বকাপের সময় বাংলাদেশ বনাম ভারতের ম্যাচের সময় বিভেদ দেখা যায়, এ কথা একেবারেই মানতে রাজি নন লেখক । সাদাত বলেন, "আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতের অধিনায়ক হয়েছিলেন ৷ দেখেছিলাম, গ্রামে আনন্দ মিছিল হচ্ছে । কারণ তিনি বাঙালি । অমর্ত্য সেন যখন নোবেল পেয়েছিলেন, তাই নিয়েও বাংলাদেশের মানুষ খুব খুশি হয়েছিল । বাংলাদেশের মানুষও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় পড়েন । আসলে কী হয় ! কিছু কিছু ঘটনা মানুষের মধ্যে একটা প্রতিক্রিয়া তৈরি করে ৷ কিন্তু কেন তা তৈরি হচ্ছে সেটা আমাদের জানতে হবে । আমাদের উচিত, দুই বাংলার যে ভালোবাসা রয়েছে তাকে পরিচর্যা করা । প্রতিহিংসাপরায়ণ হওয়া উচিত নয় ।"
ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে দেখা জনপ্রিয় মুখদের রাজনীতির প্রতি ঝোঁক দেখা যায় । সেখানে দাঁড়িয়ে বর্তমানে অন্যতম একটি নাম সাদাত হোসাইন । এপার বাংলার পাশাপাশি তাঁর ওপার বাংলাতেও সমান জনপ্রিয়তা । এই জনপ্রিয়তার জন্য কি রাজনীতিতেও নামবেন তিনি ? এ প্রশ্নের জবাবে সাদাত বলেন, "আমি নিজেকে বলি একজন গল্পকার । ফলে আমি সব দেশের রাজনীতির খোঁজ রাখি । আর সেই সবকিছুই আমার বইতে প্রকাশ পায় । তার অন্যতম উদাহরণ হল 'শঙ্খচূড়'।"
আরও পড়ুন: