ব্যান্ডেল, 22 জানুয়ারি: তিন বছর বয়সেই কণ্ঠস্থ গীতার দুটি অধ্যায় বিষাদ ও সাংখ্য যোগের একাধিক শ্লোক ৷ জিজ্ঞেস করলেই গড়গড়িয়ে স্পষ্ট উচ্চারণে গীতার এই শ্লোকগুলি বলে দিচ্ছে ব্যান্ডেলের বাসিন্দা ভ্ৰাজিষ্ণু ভট্টাচার্য ৷ এই বিস্ময়কর বালকের প্রতিভা তাক লাগিয়েছে সকলকে ৷
জানা গিয়েছে, তার পরিবার কৃষ্ণের ভক্ত । প্রত্যেকদিন গীতা পাঠের প্রচলন রয়েছে ভ্ৰাজিষ্ণুর বাড়িতে । সেই শুনেই গীতার শ্লোকগুলি মুখস্থ করে ফেলেছে এই শিশু । তার স্মৃতি শক্তি প্রবল । তাই শ্লোক কণ্ঠস্থ করার পাশাপাশি ছবি দেখেই দেশ, রাজ্যের নাম-সহ সৌরজগতের গ্রহ-নক্ষত্রের নাম অনায়াসেই বলতে পারে সে । অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল সোমবার ৷ সেখানে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল ভ্ৰাজিষ্ণুর পরিবারের ৷ তবে কারণবশত রামনগরীতে যাওয়া হয়ে ওঠেনি ৷ অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের সাক্ষী না থাকতে পারলেও বাড়িতে বসেই রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় গীতা পাঠ করল ভ্ৰাজিষ্ণু ।
বাবা দিলীপ ভট্টাচার্য ব্যবসা করেন ৷ মা কাকলি ভট্টাচার্য গৃহবধূ । মায়ের কোলে বসেই প্রথম গীতার শ্লোক কানে আসে ব্যান্ডেলের কাপাসডাঙার ভ্ৰাজিষ্ণুর ৷ সেই শুনে শুনে প্রথমে ঠোঁটস্থ করে সে ৷ তবে শুধু গীতার নয়, সরস্বতী মন্ত্রও মুখস্থ তাঁর । বই দেখে ঠিক করে পড়তে না পারলেও অনায়াসে গীতার শ্লোক বলে চলে এই শ্রুতিধর । মাত্র দেড় বছর বয়স থেকেই তার স্মৃতি শক্তির পরিচয় দিয়ে চলেছে ভ্ৰাজিষ্ণু । ইতিমধ্যে একাধিক রেকর্ড রয়েছে তাঁর নামে ৷ আরও রেকর্ড গড়ার পথে ৷ অনলাইনে বিভিন্ন পরীক্ষা দিয়েও পুরস্কার পেয়েছে এই শিশু ।
ভ্রাজিষ্ণুর মা কাকলি ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা কৃষ্ণের ভক্ত ৷ এই কারণে আমাদের বাড়িতে বিভিন্ন সময় গীতা পাঠ হয় । ভ্ৰাজিষ্ণু আমাদের কাছ থেকে গীতা পাঠ শুনে শুনেই নিজের মধ্যে আত্মস্থ করে নিয়েছে । গীতা পাঠের প্রথম অধ্যায় অর্জুন বিষাদ যোগ ও দ্বিতীয় অধ্যায়ে সাংখ্য যোগের বেশ কিছু শ্লোক শিখেছে ভ্ৰাজিষ্ণু । শুধুমাত্র একটু ধরিয়ে দিলেই পুরো অংশটাই বলতে পারে সে । গীতার মাহাত্ম্য ও সরস্বতী মন্ত্র উচ্চারণ করে আমার ছেলে । ভ্রাজিষ্ণুর আইকিউ লেভেল ভালো । তাই সে যা শোনে তাই মুখস্থ করে ফেলে । ইতিমধ্যেই ভ্রাজিষ্ণু ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড ও এশিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নিজের নাম নথিভুক্ত করিয়েছে । আগামিদিনে গীতা পাঠ করেও রেকর্ড গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে ।"
আরও পড়ুন: