কলকাতা, 22 নভেম্বর: রেশন দুর্নীতি-কাণ্ডে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতার করেছিল বাকিবুর রহমান ৷ এখন তিনি জামিনে মুক্ত ৷ জেল থেকে বেরিয়েই আবার রেশন দুর্নীতির অর্থ বিদেশে পাচার করার অভিযোগ উঠল এই বাকিবুরের বিরুদ্ধেই ৷ অভিযোগ, রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা তিনি বাংলাদেশ হয়ে দুবাইয়ে পাঠিয়েছেন হাওয়ালার মাধ্যমে ৷
এই নিয়ে ইডির হাতে সুনির্দিষ্ট তথ্য এসেছে ৷ তবে বিষয়টি নিয়ে ইডির কোনও আধিকারিকই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ ৷ তবে কেন্দ্রীয় এই এজেন্সির এক আধিকারিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, দুবাইয়ে একাধিক ব্যবসা রয়েছে বাকিবুরের ৷ সেখানেই রেশন দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ করেছেন তিনি ৷
কোথায় কত টাকা বিনিয়োগ করেছেন, সেটাও জানার চেষ্টা করছে ইডি ৷ ইতিমধ্যে দুবাইয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইডির তরফে কথাও বলা হয়েছে ৷ তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে ৷ কিন্তু সেই তথ্য-প্রমাণ বাকিবুর নষ্টের চেষ্টা করতে পারে বলে আশঙ্কা ইডির আধিকারিকদের ৷
প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে দুবাইয়ে রেশন দুর্নীতি-কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তথ্য-প্রমাণ নষ্ট করতে পারবে বাকিবুর ? ইডি সূত্রে খবর, সম্প্রতি বিচার ভবনের বিশেষ সিবিআই আদালতে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন বাকিবুর রহমান ৷ তিনি দুবাই যেতে চান ৷ তাঁর এই আবেদন দেখেই তদন্তকারীদের মনে হয়েছে যে দুবাই গিয়ে তিনি তথ্য-প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন ৷
উল্লেখ্য, বাকিবুরকে গ্রেফতার করার পরই রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে রেশন দুর্নীতি মামলার যোগ খুঁজে পায় ইডি ৷ তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ জ্যোতিপ্রিয় এখনও জামিন পাননি ৷ এই ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ তাঁর নাম বিশ্বজিৎ দাস ৷ তিনিও জামিন পেয়েছেন ৷ তিনিও বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন বিচার ভবনের বিশেষ সিবিআই আদালতে ৷
এর থেকে তদন্তকারীদের মনে সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়েছে ৷ তাই এই দু’জনের বিদেশযাত্রা আটকাতে মরিয়া কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা ৷