কলকাতা, 31 জানুয়ারি: সরকারি কাজের প্রশিক্ষণে নির্বাচিত মহিলা সদস্যদের স্বামীদের হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীদের নিশানায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহিলা সংরক্ষণের বিষয়টি তুলে ধরে তীব্র আক্রমণ শানানো হয়েছে রাজ্য সরকারকেও। এমনকী,একবিংশ শতকে এসে রাজা রামমোহন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, কল্পনা দত্তদের বাংলায় এমনটাও ঘটতে দেখে অবাক অনেকেই ৷
রাজ্যে নির্বাচিত বিভিন্ন গ্রাম সদস্য, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থেকে জেলা সভাধিপতিদের নিয়ে বিভিন্ন সরকারি কাজের ট্রেনিং করাবে রাজ্য সরকার। নবান্নের নির্দেশে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন, ব্লক প্রশাসনকে চিঠি পাঠাতেও শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। বিভিন্ন জেলায় ট্রেনিংয়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু, 'গোল বেধেছে' অন্য জায়গায়। এই সমস্ত নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, নির্বাচিত মহিলা সদস্য-প্রধান-সভাধিপতিরা তাঁদের স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন।
এই নির্দেশিকা নিয়েই বিতর্কে চরমে উঠেছে। যেখানে দেশের নারীদের ক্ষমতায়ণের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে সরকারি স্তরে উলটো পথে হাঁটা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছে কোনও কোনও মহল। বুধবার উত্তর 24 পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের দুটি নির্দেশিকা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম লিখেছেন, "নবান্নে বাংলা চায় তার মেয়েকে। আর নবান্ন চায় 'প্রধানপতি'কে ! এটা সরকারি বিষয়। নারী সংরক্ষণের জন্য প্রক্সি! লজ্জা !" আর একটি টুইটে সেলিম লিখেছেন, "রামমোহন, বিদ্যাসাগর, কল্পনা দত্ত, গীতা মুখার্জি প্রমুখের দেশে কী হচ্ছে ?" তবে এই বিতর্ক যে এখানেই শেষ হবে না তা বলে দেওয়াই যায়। বিতর্কের মধ্যে সরকার কী করে সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন: