বাঁশবেড়িয়া, 7 এপ্রিল: কালো পতাকা ও গো-ব্যাক স্লোগান দিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ির উপর হামলা। অভিযোগ তৃণমূলের বাঁশবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান শিল্পী চট্টোপাধ্যায় ও এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বাঁশবেড়িয়া পৌরসভার 17 নম্বর ওয়ার্ডের সেনপুকুর এলাকার ঘটনা।হুগলি লোকসভার প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় শনিবার এক কালীপুজোয় অংশ নিতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূলের একাধিক কর্মী-সমর্থক বিজেপি প্রার্থীর গাড়ির উপর চড়াও হয় ও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ৷
এরপর লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তারক্ষীরা নেমে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। এরপরই পুলিশে অভিযোগ জানান হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট।যদিও কোনওক্রমে বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে রেহাই পান বিজেপি প্রার্থী। পরে হুগলি লোকসভার বিজেপি কনভেনার সুবীর নাগ এই ঘটনায় ডিএম ও এসপিকে অভিযোগ জানিয়েছেন। পালটা তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সাংসদকে না-পাওয়ায় এই বিক্ষোভ আর এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির।
বাঁশবাড়িয়ার উপ-পৌরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, কিছু লোক কালো পতাকা নিয়ে গো-ব্যাক স্লোগান দিচ্ছিলেন। সরাতে গেলে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা রক্ষীরা তাঁদের ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন । তাঁর হাতে আঘাত লাগে ।
যদিও হুগলির বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বাঁশবেড়িয়ার তৃণমূলের নেত্রী শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমার গাড়ির উপর আক্রমণ করে। আমি বারংবার বলেছি পুরো হুগলিজুড়ে তৃণমূল মাফিয়ারাজ কায়েম করেছে। তাই আজ আমাকে মায়ের পুজোতে যেতে বাধা দিলো তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীরা। যেখানে প্রার্থীর সুরক্ষা নেই সেখানে সাধারণ ভোটারদের অবস্থা সম্পর্কে সকলেই বুঝতে পারছেন।"
হুগলির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, "উনি পাঁচ বছর সাংসদ থাকাকালীন মানুষের পাশে ছিলেন না। সেই কারণে কালো পতাকা দেখাতে পারে। কিন্তু তৃণমূল কালো পতাকা দেখিয়েছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।"
আরও পড়ুন: