নদিয়া, 26 অক্টোবর: গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় এক মহিলার মুখে এলোপাথাড়ি কোপ অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর ! আর, পাশের ঘরে থেকেও ঘটনার কিছুই টের পেল না মহিলার ছেলে ! নদিয়ার শক্তিনগরের ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, নদিয়ার শক্তিনগরের ভীমপুর থানায় এলাকার বাসিন্দা বছর 42-এর ওই মহিলা ৷ তিনি ছেলের সঙ্গে একাই থাকতেন ৷ তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন বাইরে থাকেন ৷ শুক্রবার রাতে মহিলা তাঁর ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন ৷ পাশের ঘরে শুয়ে ছিল তাঁর নাবালক ছেলে ৷ মহিলার বক্তব্য, অন্ধকার ঘরে হঠাৎই তাঁর উপর হামলা চালানো হয় ৷ মুখমণ্ডলে এলোপাথাড়ি কোপ মারে কেউ বা কারা ৷ তিনি কাউকে দেখতে পাননি বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ৷
তবে, ঘটনার সময় পাশের ঘরে থাকা মহিলার ছেলে প্রথমে কিছুই নাকি বুঝতে পারেনি ৷ সে পুলিশকে জানিয়েছে, তাঁর কানে মায়ের চিৎকার এসেছিল ৷ তবে, প্রায় প্রতি রাতেই তার মা পায়ের ব্যাথায় চিৎকার করতেন ৷ গতকাল রাতেও তেমনই কিছু হয়েছে, ভেবে ছেলেও খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি ৷ তবে, অনেকক্ষণ ধরে তিনি চিৎকার করতে থাকায় ছেলে ঘর থেকে বেরোতে যায় ৷ কিন্তু, ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছে সে ৷
এরপর প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করলে তাঁরা এসে ঘরের দরজা খুলে দেন ৷ প্রতিবেশীরাই মহিলাকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন ৷ জানা গিয়েছে, বাড়ির বেড়া ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢুকেছিল আততায়ী ৷ মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না ৷ তবে, কয়েকমাস আগে এক যুবক তাঁকে উত্যক্ত করেছিল ৷ সেই ঘটনায় প্রতিবাদ করায়, তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন ওই যুবক ৷ কিন্তু, তাঁর উপর হামলা কে চালিয়েছে, তা তিনি বুঝতে পারেননি ৷
অন্যদিকে, মহিলার নাবালক ছেলে অভিযোগ করেছেন, তাঁদেরই প্রতিবেশী তথা আত্মীয়দের সঙ্গে কয়েকমাস আগে অশান্তি হয়েছিল ৷ যে ঘটনায় মহিলা সেই সময় পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ৷ তবে, তাঁরা ক্ষমা চাওয়ায় মহিলা অভিযোগ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন ৷ এই হামলার ঘটনায় ওই যুবক বা প্রতিবেশীদের কেউ জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ ৷
এই ঘটনায় কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের সুপার কে অমরনাথ বলেন, "পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ তবে, অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি ৷ ঘটনায় পরিবারিক কোনও শত্রুতা ছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে ৷"