মালদা, 24 জুলাই: গাজোলের কৃষ্ণপুর কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কে ভয়াবহ ডাকাতি ৷ কালো কাপড়ের মুখোশ পরে সশস্ত্র ডাকাত দল হামলা চালাল ৷ ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ারকে গুলি করেছে দুষ্কৃতীরা ৷ সঙ্গে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ করে পালিয়েছে ডাকাত দল ৷ যদিও, পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় ওই ডাকাত দলের 2 সদস্য ৷
জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদার ভাবুক অঞ্চল সংলগ্ন পারাদিঘি এলাকায় 12 নম্বর জাতীয় সড়কে বুলডোজার রাখা ছিল ৷ সেখানে পাইপলাইনের কাজ চলছিল ৷ বুলডোজার থাকার কারণে, গাড়ির গতি কমাতে বাধ্য হয় ডাকাত দল ৷ সেই সময় গাড়িটিকে ঘিরে ধরে পুলিশ ৷ তখন গাড়ি থেকে নেমে ডাকাতরা ছুটে পালাতে শুরু করে ৷ সূত্রের খবর, সেই সময় পুলিশ দুই ডাকাতকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ৷ যার মধ্যে একটি একজনের পায়ে ও অপরটি আরেক ডাকাতের কোমড়ে লাগে ৷ আহত অবস্থায় তাদের মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে ৷
গাজোলে ডাকাতির ঘটনায় ইতিমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে ৷ সেখানে দেখা গিয়েছে, 8 জনের ডাকাত দল একটি সাদা গাড়িতে করে ব্যাংকের সামনে এসে দাঁড়ায় ৷ আহত ক্যাশিয়ার মালদা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৷
বুধবার দুপুরে অন্যান্য দিনের মতো কৃষ্ণপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে কাজ চলছিল ৷ বেলা আড়াইটে নাগাদ ব্যাংকের সামনে একটি বড় সাদা গাড়ি এসে থামে ৷ মুহূর্তের মধ্যে গাড়ি থেকে নেমে আসতে দেখা যায়, কালো কাপড়ের মুখোশ পরা ডাকাত দলকে ৷ একে একে আটজন গাড়ি থেকে নেমে আসে ৷ তাদের মধ্যে দু’জনকে ব্যাংকের বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে পাহারা দিতে দেখা যায় ৷
ব্যাংকে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লকারের চাবি ছিনিয়ে নেয় ডাকাত দল ৷ চাবি দিতে না-চাওয়ায় ক্যাশিয়ারকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ডাকাতরা ৷ গুলি তাঁর পেটে গিয়ে লাগে ৷ রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই লুটিয়ে পড়েন ক্যাশিয়ার যোগেশ্বর মণ্ডল ৷ অভিযোগ লকারে থাকা সমস্ত টাকা লুঠের পর গাড়িতে উঠে চম্পট দেয় ডাকাতরা ৷ লোকজন যাতে ধাওয়া করতে না পারে, তার জন্য বোমাবাজিও করে ৷
ডাকাতরা ব্যাংক থেকে বেরতেই, গুরুতর আহত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ক্যাশিয়ার যোগেশ্বর মণ্ডলকে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করানো হয় ৷ সেখান থেকে তাঁকে দ্রুত মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন সমবায় ব্যাংকের ক্যাশিয়ার ৷
ব্যাংক কর্মী স্বপনকুমার মণ্ডল বলেন, "প্রায় আড়াইটে নাগাদ একটা সাদা রংয়ের গাড়ি এসে দাঁড়ায় ৷ সঙ্গে সঙ্গে আট-দশজন মুখ ঢাকা অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ঢুকে পড়ে ব্যাংকে ৷ গেটের সামনে দু’জন আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দাঁড়িয়েছিল ৷ বাকিরা উপরে চলে যায় ৷ আমরা সেই সময় আতঙ্কে ছিলাম ৷ দুষ্কৃতীরা উপরে উঠে ক্যাশিয়ারের সঙ্গে চাবি নিয়ে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে ৷ কিন্তু, তারপরেও কোষাধ্যক্ষ চাবি না দেওয়ায় দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে ৷" তিনি অভিযোগ করেছেন, 3-4 লক্ষ টাকা লুঠ করে পালিয়েছে ডাকাতরা ৷