ব্যারাকপুর/আসানসোল, 2 ডিসেম্বর: বাংলাদেশে সনাতনী হিন্দুদের বাঁচাতে প্রয়োজনে ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। এছাড়া আর কোনও উপায় নেই বলে মনে করেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাতে সোমবার পেট্রাপোল সীমান্তে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি নেতারা।
সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আগে ভাটপাড়ায় নিজের বাড়ির সামনে ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, "বাংলাদেশে হিন্দু নিধন চলছে। যেভাবে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নামিয়ে এনেছেন মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার, তার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে সনাতনী সমাজকে। ওপার বাংলার অত্যাচারিত হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে হবে, এপার বাংলার সনাতনীদের। প্রয়োজন হলে যুদ্ধ করতে হবে সেদেশের সরকারের বিরুদ্ধে।"
অন্যদিকে, বাংলাদেশে ক্রমাগত সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার এবং ইসকনের ধর্ম গুরুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন রাজ্যের বিজেপি নেত্রী তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। অগ্নিমিত্রা পল প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বলেন, "মহম্মদ ইউনুস শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। সেই নোবেল পুরস্কার রাখার তাঁর কোনও অধিকার নেই। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু মানুষদের উপর অত্যাচার হচ্ছে । তাই মহম্মদ ইউনুস আপনি, নোবেল পুরস্কার ফেরত দিন।"
গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে নিপীড়ন চলছে সংখ্যালঘুদের উপর। বিশেষ করে সনাতনী হিন্দুদের বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তারই মধ্যে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে সেদেশের পুলিশ জোর করে গ্রেফতার করায় উত্তাল হয়েছে পদ্মাপাড়ের দেশ। তাঁর গ্রেফতারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে দেশ-বিদেশে। সেই আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারতেও। আন্দোলনে সামিল হয়েছেন বিজেপি নেতারাও ৷
অর্জুন সিং বলেন, "ইউনুস সরকারকে পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে জামায়াতে ইসলামী। সে কারণে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার চলছে। বাংলাদেশের এই অস্থিরতা বন্ধ করতে রাষ্ট্রপুঞ্জ কী ব্যবস্থা নেয়, সেদিকেই এখন তাকিয়ে পৃথিবীর সমস্ত দেশ। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দিকেও তাকিয়ে রয়েছে সকলে । চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে এখনই মুক্তি দেবে না বাংলাদেশ সরকার। কারণ, তারা বার্তা দিতে চাইছে, কেউ প্রতিবাদ করলেই ইসকনের সন্ন্যাসীর মতো মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে।"