বেলঘরিয়া, 4 জুলাই: ঘটনার চারদিনের মাথায় গ্রেফতার আড়িয়াদহ-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত জয়ন্ত সিং ৷ বেলঘরিয়া থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ডানলপের বিটি রোডের ধারে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসক্যাল ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে গ্রেফতার করা হয় জয়ন্তকে ৷ এরপরই ধৃতকে বেলঘরিয়া থানার নিয়ে এসে দফায় দফায় জেরা করেন তদন্তকারীরা । শুধুমাত্র বচসার জেরেই কি মা-ছেলের উপর এই নির্মম অত্যাচার, নাকি নেপথ্যে অন্য কারণ ? সমস্তটাই খতিয়ে দেখতে ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে পুলিশ । বৃহস্পতিবার ধৃত জয়ন্ত সিংকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে পেশ করলে বিচারক জয়ন্ত সিংয়ের 4 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷
আড়িয়াদহর ঘটনায় ফেরার মূল অভিযুক্ত জয়ন্ত সিং, দলীয় কর্মীর কুকীর্তিতে চাপে তৃণমূল
পুলিশ সূত্রে খবর, আড়িয়াদহে মা-ছেলেকে গণপিটুনির ঘটনায় এর আগে ধৃত জয়ন্ত'র আট সাগরেদকে গ্রেফতার করেছিল বেলঘরিয়া থানার পুলিশ । তবে, ঘটনার মূল অভিযুক্ত তথা তৃণমূল কর্মী জয়ন্ত সিংয়ের নাগাল কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছিল না । ঘটনার পর থেকে সে গা ঢাকা দিয়েছিল । কেন তাকে ধরা যাচ্ছে না, এই নিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল । এলাকার লোকজনও পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট ছিলেন । ঘটনার 'মাস্টারমাইন্ড' জয়ন্ত সিংয়ের গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ এবং ক্লাব ভাঙচুরে উত্তাল হয়েছিল আড়িয়াদহ ।
এতকিছুর পরেও পুলিশ যখন মূল অভিযুক্তের হদিস পেতে ব্যর্থ তখনই জয়ন্ত সিংয়ের সঙ্গে শাসকদলের একাধিক নেতার ছবি সামনে আসে । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র । যদিও জয়ন্ত'র অপরাধের দায় নিজের ঘাড়ে নিতে চাননি মদন মিত্র । উল্টে, তার গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন তিনি । এই নিয়ে এলাকার লোকজনের সঙ্গেও কথা বলে তাঁদের আশ্বস্ত করেন বিধায়ক মদন মিত্র । এদিকে,আড়িয়াদহ-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত জয়ন্ত সিং শাসকদলের কোন প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠ ?এই প্রশ্ন যখন ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে । ঠিক তখনই জয়ন্ত সিংয়ের গ্রেফতারি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল ।