ভাঙড়, 9 ফেব্রুয়ারি: তৃণমূল কংগ্রেসের ‘তাজা নেতা’ আরাবুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ একাধিক অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ এই নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন আরাবুলের ছেলে হাকিমুল ইসলাম ৷ তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের একটি মিটিং নিয়ে আলোচনার জন্য প্রথমে থানায় ডেকে পাঠানো হয় আরাবুলকে ৷ তার পর লালবাজারে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করা হয় ৷
শুক্রবার এই নিয়ে হাকিমুল ইসলাম বলেন, ‘‘13 তারিখের মিটিং নিয়ে আমাদের ডাকা হয় ৷ আমরা আলোচনা করছিলাম ৷ হঠাৎ করেই এসি সাহেব বা কে একজন আছেন, তিনি এসে বললেন আপনাকে (আরাবুল ইসলাম) লালবাজার যেতে হবে সিপি (পুলিশ কমিশনার) সাহেব কথা বলবেন ৷ এটা বলে নিয়ে গেল৷ পরবর্তীতে জানিয়েছে যে গ্রেফতার হয়েছে ৷’’
হাকিমুলের অভিযোগ, তাঁর বাবা আরাবুল ইসলাম নির্দোষ ৷ ভাঙড়ের অশান্তির মূলে আইএসএফ ৷ আর ওই দলের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীই এর মূলে রয়েছে ৷ তাই তিনি নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছেন ৷ হাকিমুল জানিয়েছেন যে আগামিদিনে তাঁরা নওশাদের গ্রেফতারির দাবিতে আন্দোলনে নামবেন ৷
অন্যদিকে আরাবুলের গ্রেফতারি নিয়ে দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়ের বিধায়ক আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকী জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যে গোলমাল হয়, আইএসএফ কর্মীদের হামলা হয়, সেই ঘটনাগুলির পিছনে আরাবুল ইসলামের ভূমিকা সেভাবে ছিল না ৷ বরং সেই ঘটনাগুলিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সওকত মোল্লার হাত ছিল ৷ তাই নওশাদ দাবি তুলেছেন, সওকত মোল্লাকেও গ্রেফতার করতে হবে ৷
আর এই নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, আরাবুলকে এর আগেও গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাঁকে (আরাবুল) তৃণমূল বহিষ্কার করে ৷ আবার দলে ফিরিয়ে নেয় ৷ তাই এই গ্রেফতারি লোক দেখানো বলেই তাঁর দাবি ৷ সেই কারণে আরাবুলের গ্রেফতারিকে তিনি গুরুত্ব দিতে নারাজ বলে জানিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: