ঝাড়গ্রাম, 13 অগস্ট: গ্যাসের ভর্তুকি দেওয়ারর নাম করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করে জামতাড়া গ্যাং এর সদস্যরা। ঘটনার তদন্তে নেমে ঝাড়গ্রাম সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে পশ্চিম বর্ধমান জেলার ইছাপুর থেকে ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হলেন সরোজ কুমার দাস (24), বিকাশ দাস (21) এবং আকাশ দাস (23)। সরোজের বাড়ি জামতাড়ায়। বিকাশের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার সরপি গ্রামে এবং আকাশের বাড়ি দুর্গাপুরে। তিনজন ইছাপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত। নেট ব্যাঙ্কিং করে তিন দফায় 2 লাখ 70 হাজার টাকা তুলে নেয় ৷
বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সাঁকরাইলের বছর তিপান্নের এক ব্যক্তি। তিনি অভিযোগে জানিয়ে ছিলেন,"গত 31 জুলাই আমার কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্তে বলা হয় আপনার গ্যাসের ভর্তুকির টাকা ঢুকছে না। সে জন্য কেওয়াইসি দিতে হবে। তারপর ফোনে ব্যাঙ্কের ডিটেলস নেয়। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি চেক করার জন্য আমার মোবাইলে একটি ওটিপি আসে। ওনারা বলেন ওই ওটিপি নম্বরটি বললে কনফার্মেশন হবে। তারপর নেট ব্যাঙ্কিং করে তিন দফায় 2 লাখ 70 হাজার টাকা তুলে নেয় ।" পাসবুক আপডেট করার পর ঘটনার কথা জানতে পারেন তিনি ৷
10 অগস্ট বিষয়টি লিখিত ভাবে জমা পড়ে সাইবার ক্রাইম থানায় । মঙ্গলবার ধৃত তিনজনকে ঝাড়গ্রামের সিজেএম আদালতে তোলা হয়। ধৃত তিনজনকে 6 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ ঝাড়গ্রাম জেলার সাইবার ক্রাইম থানার চার্জে রয়েছেন ঝাড়গ্রামের ডিএসপি ডিএনটি সব্যসাচী ঘোষ ।
ঝাড়গ্রামের ডিএসপি বলেন,"অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করি। ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং অপরাধীদের মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন সার্চ করা শুরু হয়। আমরা যখনই জানতে পারি ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তারা দুর্গাপুর সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে। তখনই তদন্তকারী অফিসার ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের একটি টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। একটি ঘরের মধ্যে মোট চারজন ছিল তার মধ্যে একজন পালিয়ে যায় এবং তিনজন ধরা পড়ে। অভিযোগের মাত্র তিন দিনের মধ্যেই আমরা প্রতারকদের ধরতে পেরেছি। এর সঙ্গে আরো অনেকে জড়িত রয়েছে বলে তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে । এনসিআরপি পোর্টলে জানানোর কারণে দ্রুত গতিতে তদন্ত করা সম্ভব হয়েছে। কেউ যদি সাইবার সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতারিত হন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে এনসিআরপি পোর্টালে অভিযোগ জানান ৷ অভিযোগ জানানোর পরেই নিকটবর্তী সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানান। তাহলে সাইবার ক্রাইমের দ্রুত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব ৷"