বোলপুর, 19 অক্টোবর: বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে না-যাওয়ায় মহিলা-শিশুদের বেধরক মারধর করা হল নানুরে ৷ মেরে শিশু-সহ মহিলার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷ অভিযোগের তীর বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ অনুগামীদের বিরুদ্ধে ৷ এদিকে কাজল শেখের বিজয়া সম্মেলনীতে ফাঁকা রইল অনুব্রত মণ্ডলের চেয়ার ৷
বিজয়া সম্মেলনীকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় আহত হয়েছেন পাঁচ জন ৷ তাদের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ আহতের পরিবার বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করেছে বলেও জানা গিয়েছে । সুতরাং ফের নানুরে অনুব্রত ঘনিষ্ট আব্দুল করিম খানের অনুগামীদের সঙ্গে কাজল শেখ অনুগামীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তুঙ্গে ৷
এদিন নানুরের পঞ্চায়েত সমিতির মাঠে বিজয়া সম্মীলনী করেন কাজল। নানুরে কাজল শেখ যখন বিজয়া সম্মেলনী করলেন তখন ময়ূরেশ্বরে বিজয়া সম্মেলনিতে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল অনুব্রতকে ৷ কাজল-কেষ্টকে এখনও পর্যন্ত এক মঞ্চে দেখা না-যাওয়ায় দলের অন্দরে চর্চা তুঙ্গে ৷ যদিও, এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেছন, "একই সময় বিজয়া সম্মেলনী হলে কীভাবে যাব ? তাই যাওয়া হয়নি।"
কাজল শেখ বলেন, "অনুব্রত মণ্ডলের শরীর খুব একটা ভালো নয় ৷ উনি ময়ূরেশ্বরে বিজয়া সম্মেলনীতে ছিলেন ৷ সেখানে দুটো সভা সেরে নানুরে আসা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় ৷ আর বীরভূম জেলায় তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠী নেই ৷ আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোর কমিটির আমাদের অভিভাবক বিকাশ রায়চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন ৷"
এদিন, নানুরের বিজয়া সম্মেলনিতে উপস্থিত ছিলেন, বিধায়ক তথা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোশারফ হোসেন, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, বিধান মাঝি-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। অভিযোগ, এই সভায় না যাওয়ার জন্য নানুর থানার পালুন্দি গ্রামে আব্দুল করিম খানের অনুগামীদের বাড়িতে ঢুকে রীতিমতো ভাঙচুর চালায় কাজল শেখ অনুগামীরা ৷ এমনকী, মেরে বাড়ির শিশু ও মহিলাদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ৷ রান্না করা খাবার ফেলে দেওয়া হয়। যদিও নানুর থানায় গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি বলে, দাবি আহতদের ৷ পরে তারা বোলপুরে এসডিপিও অফিসে এসে অভিযোগ দায়ের করে ৷