মালদা, 7 ফেব্রুয়ারি: নাবালিকার নৃশংস খুনে শিউড়ে উঠেছিল শহরবাসী ৷ জেরায় বোনকে খুনের কথা জ্যেঠতুতো দাদা স্বীকার করে নিয়েছে বলে দাবি পুলিশের ৷ আপাতত পুলিশি হেফাজতে আছে অভিযুক্ত ৷ তবে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটি অভিযুক্ত ব্যবহার করেছে, সেটাও অধরা ৷
এদিকে জেলা পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানান, ধৃত যুবক মাদকাসক্ত ছিল ৷ সে ড্রাগস নিত ৷ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সে এই কাজ করেছে কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে ৷ তবে ইতিমধ্যেই শহরের ড্রাগসের ব্যবসা বন্ধ করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ৷ গঠন করা হয়েছে নারকোটিক সেল ৷ সেকথা স্বীকার করেছেন খোদ জেলাশাসক ৷
প্রসঙ্গত, বর্তমানে জেলাজুড়ে মাদক ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে ৷ বিশেষত বস্তি এলাকায় মাদকের ব্যবসার রমরমা চলছে ৷ সেই মাদক কারবার শহর থেকে উৎখাত করতে উঠে পড়ে লেগেছে জেলা প্রশাসন ৷ গঠন করা হয়েছে নারকোটিক সেল ৷ সেই কমিটিতে প্রশাসন, পুলিশ, পরিবহণ দফতর, পৌরসভার প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে ৷ কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) পীযূষ সালুঙ্খে ৷ শহরের যেসব এলাকায় মাদকের কারবার চলে, সেই এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ বেশ কিছু পকেট এলাকাকে নিয়ে আসা হয়েছে রেড জোনে ৷ এসব এলাকায় নিয়মিত পুলিশি অভিযান চালানো হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর ৷
মালদার মাদক পরিস্থিতি নিয়ে জেলাশাসক নীতিন সিংঘানিয়া বলেন, "মাদকের বিরুদ্ধে আমরা গত বছর থেকে কাজ শুরু করেছি ৷ মালদাকে মাদকমুক্ত করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ আমরা ঠিক করেছি, মাদকাসক্তদের রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে পাঠিয়ে সুস্থ করে তোলা হবে ৷ তারপর তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে ৷ এর জন্য আমরা একাধিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের সঙ্গে বৈঠক করেছি ৷ নারকোটিক সেলে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পুলিশ, পৌরসভা-সহ একাধিক দফতর আছে ৷ মালদা শহরের যেসব জায়গা মাদক কারবারের জন্য কুখ্যাত হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে, সেই জায়গাগুলিতে নিয়মিত পুলিশি টহলদারি চলবে ৷"
এদিকে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী জানান, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে আমরা এই শহরকে চারটি জোনে ভাগ করেছি ৷ প্রতিটি জোনে একটি করে কমিটি তৈরি করা হবে ৷ ওই কমিটিতে সকলস্তরের মানুষকে রাখা হয়েছে ৷ কমিটির সদস্যরা নিজেদের জোনে মাদকের বিরুদ্ধে প্রচার চালাবেন ৷ ওই জোনে মাদকাসক্তদের চিহ্নিত করে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে পাঠানে হবে প্রশাসনের উদ্যোগে ৷
আরও পড়ুন: