কলকাতা, 6 এপ্রিল: বউবাজার এলাকার রামকানাই অধিকারী লেনে নির্মাণ কাজ চলায় পাশে থাকা বাড়ির দেওয়াল একাংশ ভেঙে পড়েছিল । তেমনই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল শুক্রবার পাথুরিয়া ঘাটায় ৷ বিপজ্জনক বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ল এদিন রাত 8টা নাগাদ। ঘটনার জেরে বাড়ির ভিতরেই দুই বাসিন্দা সাময়িক সময় আটকে পড়েন ৷ দমকল ও কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা এবং কলকাতা কর্পোরেশনের কর্মীরা এসে তাঁদের দু'জনকে উদ্ধার করে।
কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, পাথুরিয়াঘাটায় 80/2 ও 80 নম্বর দু'টোই বহু পুরনো বাড়ি ৷ যা বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। একাংশ প্রোমোটিং করার জন্য ভাঙা হয় ৷ আর আরেক অংশে সেখানকার বেশ কয়েকটি পরিবারকে শিফটিং দেওয়া হয় ৷ সেই অংশ পরে ভাঙা হবে বলে ঠিক হয়েছিল প্রাথমিকভাবে। সেইমতো বিপদজনক বাড়ির দোতলার সিমেন্টের ঢালাই করে কিছুটা অংশ নিয়ে ঘর তৈরি করা হয় ৷ যেখানে নির্মাণ কর্মীরা থাকবেন এবং অন্যান্য অংশে কয়েকটি পরিবার থাকবে।
জরাজীর্ণ বাড়ি, সেই ভার না-নিতে পারায় আচমকায় একাংশ ভেঙে পড়ে ৷ যদিও ভেঙে পড়ার সময় ওই বাড়িতে দু'জন বাদে আর কেউ ছিলেন না ৷ তাই দু'জন সাময়িকভাবে আটকে পড়েন ৷ এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ৷ স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় লালবাজারে বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ ও দমকল ৷ তারা এসে ঘটনাস্থলে আটকে পড়া দু'জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনার জেরে সাময়িক আতঙ্ক ছড়ায় আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে ৷ এলাকা পরিদর্শন করেন স্থানীয় 21 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মীরা হাজরা এবং বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।
প্রসঙ্গত, গত 2 এপ্রিল বউবাজার লাগোয়া দু'টি বাড়ির একটি অংশ ভেঙে নির্মাণ কাজ চলছিল। আর সেই কাজের ধাক্কাতেই পাশের বাড়ির দেওয়ালের একটি বড় অংশ ভেঙে পড়ে ৷ যদিও সেই ঘটনায় প্রাণহানি বা আহত হওয়ার কোনও ঘটনা না-ঘটলেও ভেঙে পড়া বাড়ি দোতলা ও তিনতলায় গুরুতর ফাটল ধরে। ওই ঘটনায় বাড়ি নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা প্রোমোটার ও মালিককে নোটিশ দেওয়া হয়েছে ৷ পাশাপাশি শো-কজ করা হয়েছে এলবিএস ও ইএসই'কে। তার আগে গত 17 মার্চ গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। তাতে মোট 13 জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই বউবাজারের ঘটনা ৷ এরপর ফের গতকাল পাথুরিয়াঘাটায় ভেঙে পড়ল বাড়ি ৷
আরও পড়ুন: