জলপাইগুড়ি, 9 মার্চ: হিমঘর থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হয়ে মৃত্যু হল এক কর্মীর। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের জনতা হিমঘরের ঘটনায় চাঞ্চল্য। শনিবার সকালে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হওয়ায় তিনজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে একজনের মৃত্যু হয় ৷ মৃতের নাম কুতুবউদ্দিন শেখ (45) ৷
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডাকা হয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। শিলিগুড়ি থেকে 50 জনের এনডিআরএফের একটি টিম এসে পৌঁছয় ঘুঘুডাঙাতে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জলপাইগুড়ি খারিজা বেরুবাড়ি 1 নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের ঘুঘুডাঙার টেপরামণিতে শনিবার সকালে দুুর্ঘটনাবশত হিমঘর থেকে হঠাতই অ্যামোনিয়া গ্যাস বের হতে শুরু করে ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে জনতা হিমঘরের সার্ভিসিংয়ের কাজ চলছিল। কাজ করতে গিয়েই অ্যামোনিয়া গ্যাসের পাইপ ফেটে বিপত্তি বাঁধে। সঙ্গে সঙ্গে এক কর্মী ঝলসে যান ৷ আহন হন আরও দুই ৷
আহতদের মধ্য়ে এক হিমঘরের কর্মী ছিলেন ৷ তাঁকে তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানেই ওই কর্মীর মৃত্যু হয় ৷ ঘটনার পর প্রশাসনের তরফে মাইকিং করে হিমঘরের 200 মিটারের আওতায় প্রবেশ না-করার অনুরোধ করা হয়েছে। এনডিআরএফের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট বিবেক কুমার জানান, জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন থেকে তাঁদের খবর দেওয়ার পরই গ্যাস প্রতিরোধ করতে তাদের তৎক্ষণাৎ এনডিআরএফের টিম চলে আছে। 30 জনের টিম কাজ করছে। মাল্টি গ্যাস ডিটেকটর দিয়ে গ্যাসের পরিমাণ দেখে নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে এবং বিপন্মুক্ত ৷
হিমঘরের কর্মী ইনসান শেখ বলেন, "আমরা কাজ করছিলাম। কুতুবউদ্দিন পাইপের ওপর পা-দিতেই গ্যাস বেরতে থাকে। তারপরই কুতুবউদ্দিন অজ্ঞান হয়ে পড়ে ৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, "সকাল থেকেই তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধে আমরা বাড়ি ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসি । গন্ধ এখন অনেকটাই কম ৷ আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি।"
আরও পড়ুন: