কলকাতা, 23 জুলাই: রাজ্যপালের হুঁশিয়ারিকে থোরাই কেয়ার ! বিতর্কের মাঝে জরিমানা না দিয়েই দ্বিতীয় দিন বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকার। প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর দুটো নাগাদ রাজভবনের তরফ থেকে মেইল করে জানানো হয়, এই দুই বিধায়কের শপথ অবৈধ। এঁরা বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিলে ফাইন দিতে হতে পারে। তারপরেও অবশ্য তাঁদের বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল।
এরপর মঙ্গলবারও যথারীতি দ্বিতীয়দিন বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দেন তৃণমূলের রেয়াত এবং সায়ন্তিকা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শুধু রেয়াত বা সায়ন্তিকা নন, এদিন বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন সদ্য উপনির্বাচনে জয়ী চার বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী, মুকুটমণি অধিকারী, মধুপর্ণা ঠাকুর এবং সুপ্তি পাণ্ডেও।
বিধায়কদের শপথ নিয়ে অধ্যক্ষের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যপালকে ‘লাইন মেনে চলার’ পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর
কেউই জরিমানা দেননি। 188 ধারা মেনে রাজ্যপালের অনুমতিতে সম্পন্ন হওয়া শপথ ছাড়া বাকি সমস্ত শপথকে অবৈধ বলে মনে করছে রাজভবন। এক্ষেত্রে বৈধ শপথ ছাড়া যাঁরাই বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দেবেন তাঁদের দৈনিক 500 টাকা করে জরিমানা হওয়ার কথা। তৃণমূল পরিষদীয় দলের সূত্রে খবর, শুধু সায়ন্তিকা বা রেয়াত নন, কেউই কোনও জরিমানা দেননি। কিন্তু বাকিদের ক্ষেত্রে একটা পার্থক্য রয়েছে। রাজভবনের তরফ থেকে মেইল করে শুধুমাত্র বরানগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় ও ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকারকে জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে ।
এদিন এই বিষয় নিয়ে ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "আমরা গোটা বিষয়টি অধ্যক্ষকে জানিয়েছি। অধ্যক্ষ যেমনভাবে নির্দেশ দেবেন, আমরা তাই মেনে চলব।" সবচেয়ে বড় কথা, এই দুই বিধায়ক বা এদিন হওয়া চার বিধায়কের শপথ অবৈধ মানছে না শাসক দল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভার রুলবুক অনুযায়ী পাঁচ নম্বর ধারায় অধ্যক্ষ বিধায়কদের বিধানসভার সেশন চলাকালীন যে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন তা বৈধ। সেক্ষেত্রে এখনই ফাইন দেওয়ার বিষয় ভাবছেন না তৃণমূল বিধায়করা।