বোলপুর, 27 জুন: জমি সংক্রান্ত মামলা অবসানের পর প্রথমবার শান্তিনিকতনে ফিরলেন অমর্ত্য সেন ৷ এদিন নিজের বাড়ি 'প্রতীচী'-তে ফিরেই তিনি বলেন, "খুব ভালো লাগছে" ৷ নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদকে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান, বীরভূম জেলা শাসক ও বোলপুর মহকুমা শাসক। বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে জমি বিবাদ মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার পর এই প্রথমবার শান্তিনিকেতনে ফিরলেন 'ভারতরত্ন' অমর্ত্য সেন ৷
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ এনেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৷ যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল সর্বত্র ৷ প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে বিদ্বদজনেরা ৷ উল্লেখ্য, স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর নাম রেখেছিলেন 'অমর্ত্য'। সেই মানুষটিকে 'জমি দখলকারী' বলে উচ্ছেদ করার নোটিশ দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী । এই অভিযোগের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।
সেই মামলা নিয়ে কয়েকদিন আগেই সিউড়ি জেলা আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, অধ্যাপক অমর্ত্য সেন কোনও জমি দখল করেননি ৷ প্রয়াত পিতা আশুতোষ সেনের উইল অনুযায়ী জমিটি পুত্র অমর্ত্য সেনের ৷ এমনকী 13.8 ডেসিমেল জমি যা নিয়ে বিতর্ক, সেই জমিটি অর্মত্য সেনের নামে নথিভুক্ত করে দিয়েছে সরকার ৷
প্রসঙ্গত, জমি বিবাদ মেটার পর এই প্রথম শান্তিনিকেতনে 'প্রতীচী' বাড়িতে এসেছেন বর্ষীয়ান এই অর্থনীতিবিদ ৷ এদিন রাতে তাঁকে স্বাগত জানান বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায় ও বোলপুর মহকুমা শাসক অয়ন নাথ। পুষ্পস্তবক দিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হন ৷ বাড়ি ফিরে মৃদু হেসে বললেন, 'ভালো লাগছে শান্তিনিকেতনে এসে, তবে আজ কিছু বলব না।'