কাঁথি (পূর্ব মেদিনীপুর), 15 ডিসেম্বর: আরও এক সমবায় ভোট, আর সেখানেও অশান্তির অভিযোগ ৷ এবারেও সেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ৷ তাও আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারির মধ্যে ৷ কাঁথি সমবায় ব্যাংকের নির্বাচনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে বাম প্রগতিশীল মোর্চার নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ৷
অন্যদিকে, কাঁথির রামনগরে মণ্ডল সভাপতির উপর হামলার অভিযোগ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি ৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় রবিবার সকাল 9টা থেকে সমবায় ব্যাংকের ভোট শুরু হয় ৷ অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাঝেই হঠাৎই বাম প্রগতিশীল মোর্চার ক্যাম্পে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ৷ ক্যাম্পে থাকা টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর, এমনকি এক বাম কর্মীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া অভিযোগ উঠেছে ৷
সিপিআইএম নেতা প্রণব পণ্ডা অভিযোগ করেন, "রবিবার সকালে সমবায় ভোটে আমাদের পাঁচ প্রার্থীকে নিয়ে ক্যাম্প তৈরি করা হয় ৷ সকাল থেকেই ভোটাররা ক্যাম্পে ভিড় করছিলেন ৷ কিন্তু, সেটা সহ্য করতে না-পেরে বেলা বাড়তেই আমাদের ক্যাম্পে তৃণমূলের গুন্ডারা হামলা চালায় ৷"
অন্যদিকে, কাঁথির রামনগর 2 ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সত্যেন পঞ্চাধ্যায়ীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে সমবায়ের ভোট চলাকালীন ৷ এখানেও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করা হয়েছে ৷ যার প্রতিবাদে রামনগর 2 ব্লকের দেপালে পথ অবরোধ করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা ৷
এ নিয়ে তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, "ভারতে সমবায় ব্যাংক তৈরি হওয়ার পর ইতিহাসে প্রথমবার তার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হচ্ছে ৷ দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে ৷ এই থেকে স্পষ্ট যে, পশ্চিমবঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার পরেও এরা হামলা চালাচ্ছে ৷ সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সমবায় নির্বাচনে একটা অশান্তির ঘটনা ঘটলে, পুরো ভোট বাতিল করা হবে ৷ সুপ্রিম কোর্ট নিশ্চই ব্যবস্থা নেবে ৷"
যদিও, সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ তৃণমূল নেতা হাবিবুর রহমান বলেন, "কোথায় অশান্তি ৷ আমরা সকাল থেকে ক্যাম্পে আছি ৷ কোনও অশান্তি-গন্ডগোল নেই ৷ যাদের নিজেদের লোকবল নেই, তাদের বিরুদ্ধে কীসের লড়াই ৷ একেবারেই মিথ্যে ও অপপ্রচার ৷"
এ নিয়ে কাঁথির প্রাক্তন সাংসদ শিশির অধিকারীর বক্তব্য, "বাহিনীর নিরাপত্তায় মানুষ ভোট দিতে পারছে ৷ বিক্ষিপ্ত কয়েকটি অশান্তির ঘটনা ঘটলেও, বিশেষ সুবিধা করতে পারবে না তৃণমূল ৷ এই চোর-ডাকাতরা যতদিন থাকবে, ততদিন প্রয়োজনে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাব ৷"