পাঁশকুড়া, 11 অগস্ট: চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় ৷ উত্তেজনার বশে রোগীর পরিবারের লোকজনরা হাসপাতাল ভাঙচুর করে বিক্ষোভ দেখান ৷
পাঁশকুড়া থানার গোবিন্দনগর অঞ্চলের বিজাহারপুর গ্রামের বাসিন্দা আইসক আলি নামে এক ব্যক্তিকে গত 2 তারিখ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর তাঁৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। রোগীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগীর পরিবারের কাছ থেকে 2 লক্ষ টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। গতকাল, শনিবার হাসপাতালে চিকিৎসক রাউন্ডে না-আসার ফলে আইসক আলির বাড়ির লোকজন হাসপাতলে ভাঙচুর চালায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আইসককে । তারপর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকার জন্য সেখান থেকে গত 2 তারিখ পাঁশকুড়ার বড়মা মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে এসে আইসিইউতে তাঁকে ভর্তি করা হয় ৷ সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন প্রথমে শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে পরে আবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বাড়ির লোকজন এসে দেখেন, তাঁর বাড়ির লোকজন আইসক আলির শারিরীক পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করেছে।
তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। এমনটা অবস্থা দেখে রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবেন বাড়ির লোকজন। তবে তার আগে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা চলছিল বলে জানায় তাঁর পরিবার। কিন্তু তাও তাঁদের কাছ থেকে 2 লক্ষ টাকা নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, বলে এমনটাই অভিযোগ করে তাঁরা। কিন্তু চিকিৎসা পরিষেবার ঠিক মতো না-হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন ৷ তারপর উত্তেজনার বশে হাসপাতালে কর্মরত থাকা স্টাফদের মারধর করেন।
রিসেপশন সেন্টারে থাকা কম্পিউটারগুলি ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ ৷ এমনকী মহিলা নার্স-সহ প্রায় 6-7 জন স্টাফকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। যদিও ওই রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি ক্রিটিক্যাল ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তবে এখনও পর্যন্ত বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি ৷ খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। তবে এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি ৷