ETV Bharat / state

রেফারের বলি ! কোথাও বেড না-পেয়ে মমতার চিঠি নিয়ে এসএসকেএমে, অবশেষে মৃত রোগী - SSKM HOSPITAL

ফের রেফারের জেরে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ৷ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বরে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েও বাঁচানো সম্ভব হল না গড়িয়ার বাসিন্দাকে ৷

SSKM hospital
রোগী মৃত্যুকে ঘিরে এসএসকেএম হাসপাতালে উত্তেজনা (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 5, 2024, 6:12 PM IST

কলকাতা, 5 নভেম্বর: শহরের একাধিক হাসপাতাল ঘুরেও বেড না মেলার অভিযোগ । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েও অবশেষে মৃত্যু হল গড়িয়ার বাসিন্দার ৷ এই নিয়ে সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায় এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বরে । ঘটনা থেকে ফের শহরের হাসপাতালে গাফিলতির ছবি ধরা পড়ল বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, 4 নভেম্বর নাক মুখ থেকে রক্তক্ষরণ হওয়ায় এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে । অভিযোগ, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর দীর্ঘক্ষণ বাইরে ফেলে রাখা হয় । বেডের অভাবে তাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি নেয়নি বলেও অভিযোগ । সেখান থেকে ওই রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ সেখানও বেড না মেলায় তাঁকে আনা হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে । কিন্তু এনআরএস-সহ শহরের একাধিক সরকারি হাসপাতাল ঘুরলেও শেষ পর্যন্ত বেড মেলেনি বলেই পরিবারের অভিযোগ ।

অবশেষে মঙ্গলবার সকালে রোগীকে নিয়ে তাঁর পরিবার সোজা গিয়ে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে । সেখান থেকে চিঠি লিখিয়ে ফের তাঁরা দারস্থ হন এসএসকেএম হাসপাতালের । কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর জরুরি বিভাগে রোগীকে দেখেই মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা । তারপরেই উত্তেজনা ছড়ায় এসএসকেএম-এ । ক্ষোভে ফেটে পড়ে ওই রোগীর পরিবার ।

ইতিমধ্যে কলকাতার পাঁচটি হাসপাতালে সেন্ট্রাল রেফারেল ব্যবস্থা চালু হয়েছে ৷ তার মধ্যে রয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও এনআরএস ৷ তা সত্ত্বেও কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । যদিও রোগীর পরিবার এই বিষয়ে লিখিত কোনও অভিযোগ করেনি । তবে এই ঘটনাকে সামনে রেখে আরও একবার জুনিয়র চিকিৎসকেরা প্রশ্ন তুললেন সরকারি পরিষেবা নিয়ে ।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্য রুমেলিকা কুমার বলেন, "এ দিনের ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়ে গেল সেন্ট্রাল রেফারেল ব্যবস্থার পাইলট প্রজেক্ট ব্যর্থ । কেন হাসপাতালে বেড পাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ হতে হবে ? আমরা বারবার এই কথাই বলেছিলাম । বৈঠকে আমাদের বলা হয়েছে, কাজ চলছে । তবে কাজটা আদেও কবে শেষ হবে আমরা তার সঠিক সময় জানতে চেয়েছিলাম । তারপর হঠাৎ একদিন পাইলট প্রজেক্ট চালু হল । কিন্তু আমরা বলেছিলাম চিকিৎসকেরা এমনিতেই অতিরিক্ত সময় ডিউটি করেন । তাই তাঁদের পক্ষে আরও বেশি সময় দিয়ে দুটো দিক সামলানো সম্ভব হবে না । যদি সরকার এই বিষয়গুলি না নজরে আনেন, তাহলে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে ।"

সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম কী ?

গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে কোনও রোগীকে শহরের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার জন্য এই ব্যবস্থায় একটি পোর্টাল ব্যবহার করা হয় । সেটি হল হেল্থ ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম অর্থাৎ এইচএমআইএস পোর্টাল । তার মাধ্যমেই রোগীদের রেফার করার ব্যবস্থা করা হয় । এই সেন্ট্রাল রেফারাল সিস্টেমের মেসেজ চলে যায় প্রতিটি হাসপাতালের এইচএমআইএস পোর্টালে । যে হাসপাতালে বেড খালি থাকে, সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রেফার হওয়া রোগীকে ভর্তি নিতে আবেদন গ্রহণ করে ৷

কলকাতা, 5 নভেম্বর: শহরের একাধিক হাসপাতাল ঘুরেও বেড না মেলার অভিযোগ । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েও অবশেষে মৃত্যু হল গড়িয়ার বাসিন্দার ৷ এই নিয়ে সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায় এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বরে । ঘটনা থেকে ফের শহরের হাসপাতালে গাফিলতির ছবি ধরা পড়ল বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, 4 নভেম্বর নাক মুখ থেকে রক্তক্ষরণ হওয়ায় এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে । অভিযোগ, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর দীর্ঘক্ষণ বাইরে ফেলে রাখা হয় । বেডের অভাবে তাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি নেয়নি বলেও অভিযোগ । সেখান থেকে ওই রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ সেখানও বেড না মেলায় তাঁকে আনা হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে । কিন্তু এনআরএস-সহ শহরের একাধিক সরকারি হাসপাতাল ঘুরলেও শেষ পর্যন্ত বেড মেলেনি বলেই পরিবারের অভিযোগ ।

অবশেষে মঙ্গলবার সকালে রোগীকে নিয়ে তাঁর পরিবার সোজা গিয়ে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে । সেখান থেকে চিঠি লিখিয়ে ফের তাঁরা দারস্থ হন এসএসকেএম হাসপাতালের । কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর জরুরি বিভাগে রোগীকে দেখেই মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা । তারপরেই উত্তেজনা ছড়ায় এসএসকেএম-এ । ক্ষোভে ফেটে পড়ে ওই রোগীর পরিবার ।

ইতিমধ্যে কলকাতার পাঁচটি হাসপাতালে সেন্ট্রাল রেফারেল ব্যবস্থা চালু হয়েছে ৷ তার মধ্যে রয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও এনআরএস ৷ তা সত্ত্বেও কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । যদিও রোগীর পরিবার এই বিষয়ে লিখিত কোনও অভিযোগ করেনি । তবে এই ঘটনাকে সামনে রেখে আরও একবার জুনিয়র চিকিৎসকেরা প্রশ্ন তুললেন সরকারি পরিষেবা নিয়ে ।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্য রুমেলিকা কুমার বলেন, "এ দিনের ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়ে গেল সেন্ট্রাল রেফারেল ব্যবস্থার পাইলট প্রজেক্ট ব্যর্থ । কেন হাসপাতালে বেড পাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ হতে হবে ? আমরা বারবার এই কথাই বলেছিলাম । বৈঠকে আমাদের বলা হয়েছে, কাজ চলছে । তবে কাজটা আদেও কবে শেষ হবে আমরা তার সঠিক সময় জানতে চেয়েছিলাম । তারপর হঠাৎ একদিন পাইলট প্রজেক্ট চালু হল । কিন্তু আমরা বলেছিলাম চিকিৎসকেরা এমনিতেই অতিরিক্ত সময় ডিউটি করেন । তাই তাঁদের পক্ষে আরও বেশি সময় দিয়ে দুটো দিক সামলানো সম্ভব হবে না । যদি সরকার এই বিষয়গুলি না নজরে আনেন, তাহলে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে ।"

সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম কী ?

গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে কোনও রোগীকে শহরের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার জন্য এই ব্যবস্থায় একটি পোর্টাল ব্যবহার করা হয় । সেটি হল হেল্থ ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম অর্থাৎ এইচএমআইএস পোর্টাল । তার মাধ্যমেই রোগীদের রেফার করার ব্যবস্থা করা হয় । এই সেন্ট্রাল রেফারাল সিস্টেমের মেসেজ চলে যায় প্রতিটি হাসপাতালের এইচএমআইএস পোর্টালে । যে হাসপাতালে বেড খালি থাকে, সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রেফার হওয়া রোগীকে ভর্তি নিতে আবেদন গ্রহণ করে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.