মেদিনীপুর, 9 ফেব্রুয়ারি: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রামজীবনপুর পৌরসভার অন্তর্গত 11টি ওয়ার্ডে মোট তেরোটি আইসিডিএস বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে ৷ কিন্তু, সেগুলি নামেই আছে ৷ এগুলির জন্মলগ্ন থেকেই মাথায় কোনও ছাদ নেই ৷ কোথাও খোলা আকাশের নিচে, কোথাও বা ত্রিপল খাটিয়ে হচ্ছে রান্না ৷ নিজস্ব স্কুল বিল্ডিং বলে কিছুই নেই ৷ কয়েকটি জায়গায় বাচ্চাদের ক্লাস চলে পৌরসভার কমিউনিটি হলে ৷ ফলে অধিকাংশ সময়ে পড়ুয়ারা অনুপস্থিত থাকে ৷ শুধু খাবার নিচে সময়ে সময়ে চলে আসে তারা ৷
কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অস্থায়ী চালার নিচে পড়ুয়াদের ক্লাস নেন শিক্ষিকারা ৷ সেখানেই পাশে ত্রিপল খাটিয়ে চলে মিড-ডে মিলের রান্না ৷ যে কোনও সময় পোকামাঁকড় বা অন্য যে কোনও নোংরা উড়ে এসে রান্নায় পড়ার সম্ভাবনা থাকে প্রবল ৷ বছরের পর বছর ধরে অভিভাবক থেকে সেন্টারের কর্মীরা, সকলে পৌরসভার কাছে আবেদন করে আসলেও, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির জন্য কোনও স্থায়ী ঠিকানা তৈরি হয়নি ৷ যা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা ৷
তাঁদের অভিযোগ, "প্রশাসনের সকলকে জানানো হয়েছে ৷ তাঁরা আসছেন, পরিদর্শন করছেন আর চলে যাচ্ছেন ৷ কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না ৷ খোলা আকাশের নিচে রান্না করতে গিয়ে আমাদের চিন্তা, এই বুঝি খাবারে কিছু পড়ে না যায় ৷" অভিযোগ, বাম জমানা থেকে বর্তমান সরকার, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির হাল ফেরানোর উদ্যোগ নেয়নি কোনও পক্ষই ৷
রামজীবনপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান কল্যাণ তিওয়ারি তেরোটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ তাঁর দাবি, তিনি ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেগুলির সংস্কারের জন্য ৷ সেই সংক্রান্ত সব প্রস্তাব প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে ৷ খুব দ্রুত সেগুলি অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে ৷ একই কথা ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাসের মুখেও ৷ তিনি মেনে নিয়েছে রামজীবনপুর পৌরসভার অন্তর্গত অধিকাংশ অঙ্গনওয়াড়ির বেহাল দশার কথা ৷ এমনকী পৌরসভা যে প্রস্তাব পাঠিয়েছে, তাও স্বীকার করেছেন ৷ কিন্তু প্রশ্ন হল, প্রস্তাবনা কবে অনুমোদন পাবে ? আর কবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির নিজস্ব বিল্ডিং হবে ?
আরও পড়ুন: