ETV Bharat / state

রামজীবনপুরে 11টি ওয়ার্ডের 13টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বেহাল পরিকাঠামোর অভিযোগ

ICDS Centres in Ramjibanpur Municipality: মিড-ডে মিল তৈরি হচ্ছে বাঁশের খুটিতে ত্রিপলের ছাউনি দিয়ে ৷ আর সেই খাবার বিলি হচ্ছে, খোলা আকাশের নিচে ৷ অভিযোগ এমনই বেহাল দশা পশ্চিম মেদিনীপুরের রামজীবনপুর পৌরসভার এগারোটি ওয়ার্ডের তেরোটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 9, 2024, 5:05 PM IST

13টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বেহাল পরিকাঠামোর অভিযোগ

মেদিনীপুর, 9 ফেব্রুয়ারি: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রামজীবনপুর পৌরসভার অন্তর্গত 11টি ওয়ার্ডে মোট তেরোটি আইসিডিএস বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে ৷ কিন্তু, সেগুলি নামেই আছে ৷ এগুলির জন্মলগ্ন থেকেই মাথায় কোনও ছাদ নেই ৷ কোথাও খোলা আকাশের নিচে, কোথাও বা ত্রিপল খাটিয়ে হচ্ছে রান্না ৷ নিজস্ব স্কুল বিল্ডিং বলে কিছুই নেই ৷ কয়েকটি জায়গায় বাচ্চাদের ক্লাস চলে পৌরসভার কমিউনিটি হলে ৷ ফলে অধিকাংশ সময়ে পড়ুয়ারা অনুপস্থিত থাকে ৷ শুধু খাবার নিচে সময়ে সময়ে চলে আসে তারা ৷

কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অস্থায়ী চালার নিচে পড়ুয়াদের ক্লাস নেন শিক্ষিকারা ৷ সেখানেই পাশে ত্রিপল খাটিয়ে চলে মিড-ডে মিলের রান্না ৷ যে কোনও সময় পোকামাঁকড় বা অন্য যে কোনও নোংরা উড়ে এসে রান্নায় পড়ার সম্ভাবনা থাকে প্রবল ৷ বছরের পর বছর ধরে অভিভাবক থেকে সেন্টারের কর্মীরা, সকলে পৌরসভার কাছে আবেদন করে আসলেও, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির জন্য কোনও স্থায়ী ঠিকানা তৈরি হয়নি ৷ যা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা ৷

তাঁদের অভিযোগ, "প্রশাসনের সকলকে জানানো হয়েছে ৷ তাঁরা আসছেন, পরিদর্শন করছেন আর চলে যাচ্ছেন ৷ কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না ৷ খোলা আকাশের নিচে রান্না করতে গিয়ে আমাদের চিন্তা, এই বুঝি খাবারে কিছু পড়ে না যায় ৷" অভিযোগ, বাম জমানা থেকে বর্তমান সরকার, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির হাল ফেরানোর উদ্যোগ নেয়নি কোনও পক্ষই ৷

রামজীবনপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান কল্যাণ তিওয়ারি তেরোটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ তাঁর দাবি, তিনি ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেগুলির সংস্কারের জন্য ৷ সেই সংক্রান্ত সব প্রস্তাব প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে ৷ খুব দ্রুত সেগুলি অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে ৷ একই কথা ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাসের মুখেও ৷ তিনি মেনে নিয়েছে রামজীবনপুর পৌরসভার অন্তর্গত অধিকাংশ অঙ্গনওয়াড়ির বেহাল দশার কথা ৷ এমনকী পৌরসভা যে প্রস্তাব পাঠিয়েছে, তাও স্বীকার করেছেন ৷ কিন্তু প্রশ্ন হল, প্রস্তাবনা কবে অনুমোদন পাবে ? আর কবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির নিজস্ব বিল্ডিং হবে ?

আরও পড়ুন:

  1. মিড-ডে মিলের খিচুড়িতে ইঁদুর ! গ্রামেই স্বাস্থ্য শিবিরের ব্যবস্থা করলেন বিডিও
  2. মিড-ডে মিলের চাল চুরির অভিযোগে দেগঙ্গার স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও পার্শ্ব শিক্ষককে শো-কজ প্রশাসনের
  3. মিড-ডে মিল খেয়ে অসুস্থ অন্তত 60 ছাত্রছাত্রী, প্রতিবাদে অভিভাবকরা

13টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বেহাল পরিকাঠামোর অভিযোগ

মেদিনীপুর, 9 ফেব্রুয়ারি: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রামজীবনপুর পৌরসভার অন্তর্গত 11টি ওয়ার্ডে মোট তেরোটি আইসিডিএস বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে ৷ কিন্তু, সেগুলি নামেই আছে ৷ এগুলির জন্মলগ্ন থেকেই মাথায় কোনও ছাদ নেই ৷ কোথাও খোলা আকাশের নিচে, কোথাও বা ত্রিপল খাটিয়ে হচ্ছে রান্না ৷ নিজস্ব স্কুল বিল্ডিং বলে কিছুই নেই ৷ কয়েকটি জায়গায় বাচ্চাদের ক্লাস চলে পৌরসভার কমিউনিটি হলে ৷ ফলে অধিকাংশ সময়ে পড়ুয়ারা অনুপস্থিত থাকে ৷ শুধু খাবার নিচে সময়ে সময়ে চলে আসে তারা ৷

কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অস্থায়ী চালার নিচে পড়ুয়াদের ক্লাস নেন শিক্ষিকারা ৷ সেখানেই পাশে ত্রিপল খাটিয়ে চলে মিড-ডে মিলের রান্না ৷ যে কোনও সময় পোকামাঁকড় বা অন্য যে কোনও নোংরা উড়ে এসে রান্নায় পড়ার সম্ভাবনা থাকে প্রবল ৷ বছরের পর বছর ধরে অভিভাবক থেকে সেন্টারের কর্মীরা, সকলে পৌরসভার কাছে আবেদন করে আসলেও, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির জন্য কোনও স্থায়ী ঠিকানা তৈরি হয়নি ৷ যা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা ৷

তাঁদের অভিযোগ, "প্রশাসনের সকলকে জানানো হয়েছে ৷ তাঁরা আসছেন, পরিদর্শন করছেন আর চলে যাচ্ছেন ৷ কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না ৷ খোলা আকাশের নিচে রান্না করতে গিয়ে আমাদের চিন্তা, এই বুঝি খাবারে কিছু পড়ে না যায় ৷" অভিযোগ, বাম জমানা থেকে বর্তমান সরকার, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির হাল ফেরানোর উদ্যোগ নেয়নি কোনও পক্ষই ৷

রামজীবনপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান কল্যাণ তিওয়ারি তেরোটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ তাঁর দাবি, তিনি ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেগুলির সংস্কারের জন্য ৷ সেই সংক্রান্ত সব প্রস্তাব প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে ৷ খুব দ্রুত সেগুলি অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে ৷ একই কথা ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাসের মুখেও ৷ তিনি মেনে নিয়েছে রামজীবনপুর পৌরসভার অন্তর্গত অধিকাংশ অঙ্গনওয়াড়ির বেহাল দশার কথা ৷ এমনকী পৌরসভা যে প্রস্তাব পাঠিয়েছে, তাও স্বীকার করেছেন ৷ কিন্তু প্রশ্ন হল, প্রস্তাবনা কবে অনুমোদন পাবে ? আর কবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির নিজস্ব বিল্ডিং হবে ?

আরও পড়ুন:

  1. মিড-ডে মিলের খিচুড়িতে ইঁদুর ! গ্রামেই স্বাস্থ্য শিবিরের ব্যবস্থা করলেন বিডিও
  2. মিড-ডে মিলের চাল চুরির অভিযোগে দেগঙ্গার স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও পার্শ্ব শিক্ষককে শো-কজ প্রশাসনের
  3. মিড-ডে মিল খেয়ে অসুস্থ অন্তত 60 ছাত্রছাত্রী, প্রতিবাদে অভিভাবকরা
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.