শিলিগুড়ি/ধূপগুড়ি, 19 এপ্রিল: ভারত সরকার প্রদত্ত পরিচয়পত্র নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা ৷ ভোট কেন্দ্রেও ঢোকেন ৷ কিন্তু, ভোট দিতে পারলেন না শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 34 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গোবিন্দ রায় এবং ধূপগুড়ি পৌরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাসন্তী দাস ৷ কারণ, ভোটার তালিকায় তাঁদের মৃত বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ প্রথম দফায় জলপাইগুড়ি লোকসভার নির্বাচনে এমনই ঘটনা সামনে এসেছে ৷
শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 14টি ওয়ার্ড জলপাইগুড়ি লোকসভার আওতায় পড়ে ৷ ফলে দার্জিলিং জেলার অংশ হলেও, জলপাইগুড়ি লোকসভার বর্ধিত অংশ হওয়ায় আজ সেখানে ভোট ৷ তারই মধ্যে একটি হল শিলিগুড়ি 34 নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত বাল্মীকি বিদ্যালয়ে 236 নং বুথ ৷ সেখানে শুক্রবার সকালে ভোটার কার্ড নিয়ে ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন গোবিন্দ রায় ৷ কিন্তু, ভিতরে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর নাম ভোটার তালিকায় নেই ৷ প্রিসাইডিং অফিসার জেলা নির্বাচন আধিকারিকের দফতরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, গোবিন্দ দাস নির্বাচন কমিশনের তালিকায় মৃত ৷
নিয়মের গেরোয় তিনি এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে পারলেন না ৷ তবে, তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা ভোট দিয়েছেন ৷ বিষয়টি জানার পর থেকেই মুষড়ে পড়েছেন গোবিন্দ দাস ৷ এনিয়ে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 34 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিমল তফাদার বলেন, "একজন মানুষ জীবিত রয়েছেন ৷ কিন্তু, তাঁকে মৃত বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এটা খুব বড় গাফিলতি ৷ এই ভোটার তালিকা তৈরির কাজ বিএলও'রা করেন ৷ তাঁদের গাফিলতিতেই এটা হয়েছে ৷ আমি ওনাকে বলেছি, ওনার নাম ভোটার তালিকায় আবার তোলার ক্ষেত্রে যথাসম্ভব সাহায্য় করব ৷"
একই ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি লোকসভার ধূপগুড়ি ব্লক ও পৌরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ডের 186 নম্বর বুথের ভোটার বাসন্তী দাসের সঙ্গে ৷ তিনিও ভোট দিতে গিয়ে জানতে পারেন, ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই ৷ একইভাবে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে খোঁজ নিয়ে প্রিসাইডিং অফিসার জানান, বাসন্তী দাস নির্বাচন কমিশনের তালিকায় মৃত ৷ নিয়ম অনুযায়ী, প্রিসাইডিং অফিসার তাঁকে ভোট দিতে দেননি ৷ তবে, এই ধরনের গাফিলতির দায় কাদের ? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে ৷ এমনকি যে বিএলও'দের তালিকা তৈরির দায়িত্ব রয়েছে, তাদের কি প্রশিক্ষণ ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে না ? যার জবাব কারও কাছেই নেই ৷
আরও পড়ুন: