কলকাতা, 3 জুলাই: জেলা থেকে আসা মানুষজন কলকাতায় পা ফেললে একটিবার হলেও ঘুরে যান ধর্মতলায় । অনেকেই কেনাকাটি করেন । বিদেশের মানুষজনও আসেন এই ধর্মতলায় । গ্র্যান্ড হোটেল, লাইট হাউস সিনেমা, চ্যাপলিন সিনেমা, হগ মার্কেট, গ্লোব সিনেমা তাঁদের কাছে ল্যান্ডমার্ক । তবে দীর্ঘ বেশ কয়েকবছর ধরে হুমায়ুন প্যালেস থেকে শুরু করে বার্ট্রাম স্ট্রিট, রক্সি সিনেমা হল, লিন্ডসে স্ট্রিট, হগ স্ট্রিট, মির্জা গালিব স্ট্রিট সবটাই চলে গিয়েছিল হকারদের দখলে ।
প্রায় 30 ফুটের বেশি পিচ রাস্তার উপর যথেচ্ছভাবে বসে ডালা লাগিয়েছিল হকাররা । গাড়ি চলাচল ও পার্কিংয়ের সমস্যার জেরে ঐতিহ্যশালী হগ মার্কেটে কেনাকাটা করা বন্ধ করে দিয়েছেন অনেকে ৷ মানুষ পর্যন্ত হাঁটা চলা করতে পারতেন না । বড় বড় প্লাস্টিকের ছাউনিতে ঢেকেছিল গ্র্যান্ড থেকে শুরু করে নিউ মার্কেট তল্লাট ।
হাতিবাগান থেকে নিউমার্কেট, শুরু হকারদের ডিজিটাল সমীক্ষা
তবে মুখ্যমন্ত্রীর ধমক ও কমিটি করে হকার সরানোর দিনক্ষণ বেঁধে দেওয়াতে বদলে গিয়েছে গোটা পরিস্থিতি । রাস্তা দখল করে বসা বেআইনি হকারদের তুলে দেওয়ার পর ফুটপাথের একধারে এক তৃতীয়াংশ জায়গা নির্দিষ্ট করে বসানোর পর ছবিটা বদলেছে ৷ ফের রাস্তা দেখা যাচ্ছে । সুষ্ঠুভাবে যান চলাচল করছে । হাঁটা চলাতেও অসুবিধা নেই । বেশ কয়েকদিন ধরে চলা অভিযানে ফের ফিরেছে পুরনো ছবি ।
এই ছবি ফেরাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে নিউ মার্কেটের দোকানকর্মী ও ক্রেতারা । দোকানকর্মীদের কথায়, "ঐতিহ্যবাহী বাজারে যারা ক্রেতা তারা এতদিন ইচ্ছে থাকলেও আসতে পারতেন না । গাড়ি রাখতে পারতেন না । বেশিক্ষণ গাড়ি রাখলে হকাররা হুমকি দিত । আমাদের মোটা টাকা ভাড়া দিয়েও ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছিল । এখন ছবি বদলেছে । দেখা যাক পুলিশ প্রশাসন কতদিন তৎপর থাকতে পরে ।"
ক্রেতারা বলছেন, "হকারদের বাড়বাড়ন্ত ছিল । আসা যেত না । এখন সুষ্ঠুভাবে আসছি দোকান থেকে কেনাকাটি করছি । ভালো হয়েছে । তবে ওদেরও পেট আছে ওদেরও দেখুক । নির্দিষ্টভাবে যাতে করে খেতে পারে ।"
উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে নয়া উত্তেজনা, নিউমার্কেটে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মহিলা হকার