লালগোলা, 22 সেপ্টেম্বর: ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়ালেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ৷ কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রী সিপি প্যাটেল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন তিনি ৷ চিঠিতে ভাঙন পরিস্থিতি রোধে দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন এই প্রাক্তন সাংসদ ।
ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়ায় এবার গঙ্গার পাশাপাশি পদ্মায় শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন । আতঙ্কে কাঁপছেন ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা । মুর্শিদাবাদের লালগোলা বিধানসভা এলাকায় বিলবোরাকোপরা অঞ্চলের তারানগরে শুরু হয়েছে পদ্মা নদীতে ভাঙন । ভাঙন বিশাল আকার ধারণ করায় ক্ষতিগ্রস্ত বহু পরিবার । ইতিমধ্যে পদ্মায় তলিয়ে গিয়েছে 500 মিটার এলাকা । গত 10 মাসে পদ্মা গ্রাস করেছে 150 বিঘা দুফসলি, তিন ফসলি কৃষিজমি । 35টি পরিবার বাড়ি ঘর ছেড়ে অস্থায়ী ছাউনিতে আশ্রয় নিয়েছেন । এই পরিস্থিতির উল্লেখ করে রাজ্য ও কেন্দ্রকে চিঠি দিলেন অধীর চৌধুরী ৷
নদীর ধারে বাস তাদের চিন্তা বারো মাস । এই প্রবাদ বাক্যটি মুর্শিদাবাদের গঙ্গা ও পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন । সামশেরগঞ্জের মানুষ গঙ্গা ভাঙনে কার্যত বেঘর হয়ে পড়েছেন । এবার পদ্মাপাড়ের বাসিন্দাদের চোখের ঘুম ছুটেছে । দিন কয়েকের মুষলধারে বৃষ্টিতে ফুলে ফেঁপে উঠেছে পদ্মা । আর তার জেরে শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন ।
লালগোলা ব্লকের তারানগরের বাসিন্দারা আতঙ্কে রাত জাগছেন । পালা করে পাহারা দিচ্ছেন পদ্মাপাড় । তারানগরে ইতিমধ্যে 150 বিঘা কৃষজমি পদ্মাগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে । নদীর ধারে যাতায়াতের 500 মিটার পাড় ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে । বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের অস্তিত্ব সংকটের মুখে ৷ বিপজ্জনকভাবে ঝুলছে বাড়িগুলি ।
ভাঙন দুর্গত মহম্মদ ইসমাইল ও সেতাবুর রহমানদের অভিযোগ, "স্থানীয় প্রশাসন, রাজ্য বা কেন্দ্রের প্রশাসন কেউ খোঁজ নেয়নি । জনপ্রতিনিধিরাদের পা এলাকায় পড়েনি । একমাস ধরে চলছে ভাঙন । সামনে দুর্গোৎসব, ঈদ ।" উৎসবের আগে ভাঙন ব্যাপক আকার নেওয়ায় উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা । মহম্মদ ইসমেইল নামে ওই কৃষকের 6 বিঘা জমি তলিয়ে গিয়েছে পদ্মায় । চোখের জলে ভাসছেন ইসমাইল ।