কলকাতা, 30 অগস্ট: রাস্তায় নামুক ধর্মীয় সমাজের প্রতিনিধিরাও ৷ আজ বিধানভবনে সাংবাদিক বৈঠকে এই আবেদন রাখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ৷ তিনি দাবি করলেন, ইমাম, পুরোহিত, পাদরি এবং শিখ ধর্মের ধর্মগুরুদেরও উচিত নাগরিক সমাজের এই আন্দোলনে সামিল হওয়ার ৷ নারী সুরক্ষার প্রশ্নে কেন তাঁরা এখনও চুপ রয়েছেন ? প্রশ্ন তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ৷
অধীর চৌধুরী বলেন, "মুসলিম সমাজের ইমাম, মৌলবি এবং মৌলানা তাঁদেরও পথে নামা উচিত ৷ নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ জানান উচিত ৷ হিন্দু সমাজের পূজারি এবং পুরোহিতদেরও পথে নেমে প্রতিবাদ জানাতে হবে ৷ খ্রিস্টান সমাজের যাজক, পাদরিদেরও প্রতিবাদে সামিল হতে হবে ৷ গুরুদ্বারের দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদেরও পথে নেমে প্রতিবাদ করা উচিত ৷ আমি যা বলতে চাইছি, তা হল শুধু নাগরিক সমাজ কেন প্রতিবাদে পথে নামবে ? তাঁদের সঙ্গে ধর্মীয় সমাজকেও পথে নামতে হবে ৷"
এ প্রসঙ্গে এনআরসি ও সিএএ-কে উদাহরণ হিসেবে টেনে আনেন অধীর ৷ তিনি বলেন, "যখন এনআরসি ও সিএএ’র মতো জনবিরোধী আইন আনা হয়েছিল, তখন সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সচেতন নাগরিকরাও পথে নেমেছিলেন ৷ আজ তাই সংখ্যালঘুদেরও পথে নামতে হবে ৷ যখন হিন্দুদের কোনও ইস্যু তৈরি হয়, তখন পুরোহিতরা পথে নামেন ৷ আর এখন যখন সমাজের সংকট, বাংলার নারীদের সুরক্ষার সংকট, তখন কেন বিভিন্ন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের আমরা পথে দেখছি না ?"
এ দিন অধীর অভিযোগ করেছেন আরজি কর-কাণ্ড থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে ৷ বিভিন্নভাবে নাগরিক সমাজের আন্দোলনকে রাজনীতির রং দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ৷ তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের তৃণমূল সরকার সুপরিকল্পিতভাবে সেই কাজটা করছে ৷