সন্দেশখালি, 23 ফেব্রুয়ারি: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সফরের মধ্যেই ফের অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালির বেড়মজুর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা । ঝুপখালির পর এবার জনরোষ আছড়ে পড়ল কাছারি এলাকায় ৷ ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীদের ক্ষোভের আগুনে শুক্রবার পুড়ে খাক হয়ে গেল শাহজাহানের মেজভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের আরও একটি ভেড়ির আলাঘর । এখানেই শেষ নয়, এরপর গ্রামবাসীদের রোষ গিয়ে পড়ে সিরাজউদ্দিন ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির উপরে ৷ তাঁর বাড়িতে হামলা করে স্থানীয়রা ৷ ভাঙচুর করা হয় বাড়িও ৷ পরিস্থিতি সামলাতে এলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা । অবশেষে গ্রামবাসীদের বোঝাতে ময়দানে নামেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার ৷
সন্দেশখালিতে শাহজাহান ও তাঁর শাগরেদ এবং দোসরদের বিরুদ্ধে উত্তরোত্তর বাড়ছে ক্ষোভের আগুন । বেড়মজুর 2 পঞ্চায়েত এলাকায় শাহজাহানের মেজ ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করে গ্রামবাসীরা ৷ ইঁট দিয়ে ঠুকে বাইক ভেঙে দেয় ক্ষিপ্ত জনতার দল ৷ বাড়িও ভাঙচুর করা হয় ৷ পুলিশ গিয়ে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেয় ৷ এই ঘটনায় অজিত মাইতি জানান, তিনি এসবের সঙ্গে জড়িত নন ৷ তাঁর দোষ প্রমাণিত হলে শাস্তি মাথা পেতে নেবেন ৷
এদিকে দফায় দফায় বেড়মজুরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার ৷ আসে তাঁর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী । তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তও করা হবে বলে স্পষ্টত জানান এডিজি ৷ গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "ধৈর্য ধরুন ৷ এখানে সেখানে আগুন লাগিয়ে দেবেন না ৷ আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি ৷ আমাদের কাজ করতে সহযোগিতা করুন ৷ আপনারা সহযোগিতা না করলে তদন্ত করতে দেরি হবে ৷ আগে কী হয়েছে তা না ভেবে বর্তমান পরিস্থিতি দেখুন ৷ আমাদের তদন্তের পরই 9 জন গ্রামবাসী জমি ফেরত পেয়েছে ৷ আপনারাও পাবেন ৷ কিন্তু এভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করলে তদন্তে দেরি হবে ৷"
আরও পড়ুন :