কলকাতা, 19 মার্চ: ব্যানার্জি পাড়া, হরি বাবু পল্লী লেন, ফতেপুর গ্যারেজ এই তল্লাটে জমি বিক্রি, বাড়ি কেনা, ফ্ল্যাট তৈরিতে শেষ কথা বলতেন মহম্মদ ওয়াসিম। কাউন্সিলর শামস ইকবাল দাবি করেছেন, ধৃত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমকে তিনি চেনেই না। তবে সমাজ মাধ্যম অন্য কথা বলছে। দাপুটে প্রোমোটারের দাপটের অন্যতম কারণ ছিল মাথার উপর শামস ইকবালের হাত। তিনি নাকি কাউন্সিলরের 'খাস' লোক।
কলকাতা পৌরসভার 134 নম্বর ওয়ার্ডের পরপর 2 বারের তৃণমূল কাউন্সিলর শামস ইকবাল। তাঁর ওয়ার্ডেই রবিবার ঘটে গিয়েছে ভয়াবহ ঘটনা । ঝুপড়ির উপর বেআইনি বাড়ি ভেঙে মৃত্য়ু হয়েছে প্রায় 9 জনের ৷ তারপরই প্রশ্ন উঠছে এত বড় দূর্ঘটনা কীভাবে ঘটলো ? কাউন্সিলরে কি কোনওরকম ভাবেই অবগত ছিলেন না বেআইনি নির্মান প্রসঙ্গে ? উত্তরে কাউন্সিলর ইকবাল বলেন, "তিনি জানতেন না। তাঁর জানার কথাও নয়। কে প্রোমোটার তাকেও চেনেন না।"
এই দাবির সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে । কারণ তৃণমূল কাউন্সিলর শামস ইকবালের সঙ্গে অভিযুক্ত ধৃত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমের ছবি ঘুরছে সোশাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । জানা গিয়েছে, এই তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর শামস ইকবালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে প্রোমোটারের । তাই তাদের ঘণিষ্টার সূত্র আরও জোরাল করেছে ৷
এই প্রসঙ্গে, বিরোধীদের তরফে ইতিমধ্যেই আক্রমণ করেছে । বিরোধী শিবির ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কাউন্সিলর ও মেয়রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে । বিরোধীদের মধ্যে কেউ কেউ ইতিমধ্য়েই দাবি করছেন সমস্ত বিষয়টি জলের মত স্পষ্ট । প্রোমোটারের সঙ্গে কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠতার কারণেই বহাল তবিয়তে গড়ে উঠছিল ওই বেআইনি নির্মান ৷ বিরোধীদের মধ্যে অনেকেই সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের প্রসঙ্গ তুলতে শুরু করেছেন ।
এই প্রসঙ্গেই বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলেন, "ফেরার চিটফান্ড মালিক কোথায় ছিলেন তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । তার পর রাজ্য পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন ওই চিটফান্ড কর্তা । তখনও তাঁকে চিনতেন না বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূলের নেতারা। পরে সিবিআই তদন্তে বেরিয়ে আসে ডেলোয় বসে গোপন মিটিং-এর কথা । মানুষকে মিথ্যা কথা বলে, টাকা দিয়ে বেশিদিন চালানো যায় না ।" এতগুলো প্রাণ চলে গেল অন্যের উপর দায় চাপিয়ে তৃণমূল বাঁচতে পারবে না বলে দাবি রাজ্যের বিরোধী শিবিরের ৷
আরও পড়ুন: