জলপাইগুড়ি, 27 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালি ঘটনার প্রতিবাদে জেলা পুলিশ সুপারকে ডেপুটেশন দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হল জলপাইগুড়ি। পুলিশকে চুড়ি ও সাদা শাড়ি দেওয়াকে কেন্দ্র করে চলল ধস্তাধস্তি। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ কর্মীদের দফায় দফায় ধস্তাধস্তি ৷ উত্তেজনা ছড়াল পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে ৷
এবিভিপি-র রাজ্য সম্পাদক দীপ্ত দে অভিযোগ করে বলেন, "মুখমন্ত্রী বলেছিলেন যে গরু দুধ দেয় তার লাথি খাওয়া ভালো ৷ এটা চলতে দেওয়া যায় না। সন্দেশখালিতে যা হচ্ছে সেটা মেনে নেওয়া যায় না ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য লাথি খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ ৷ বাংলার লক্ষ্মীদের রাত 12টার সময় তৃণমূল পার্টি অফিসে কী কাজ থাকতে পারে? তৃণমূল কংগ্রেসের যাঁরা পান থেকে চুন খসলে বড় বড় কথা বলেন, তাঁদের কোনও মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে না।"
তিনি আরও বলেন, "এবিভিপি লাগাতার আন্দোলন করতে চলেছে। আমাদের পুলিশ সুপারের কাছে পৌঁছতে দেয়নি। আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে পুলিশ। পুলিশকে আমরা সবুজ চুড়ি আর সাদা শাড়ি উপহার দিয়ে গেলাম। বাংলার মানুষকে নিরাপত্তা যদি পুলিশ দিত তাহলে আমাদের রাস্তায় নামতে হত না। আয়নার সামনে নিজের চোখে চোখ রাখতে পারবেন না। বাড়িতে গেলেই তাঁরা প্রশ্নের মুখে পড়বেন। আমাদের লাগাতার আন্দোলন চলবে।"
উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি কালেক্টরেট অ্যাভিনিউতে সন্দেশখালির দোষীদের গ্রেফতারের পিড্বলুউডি মোড় থেকে এবিভিপি সমর্থকরা পুলিশ সুপারের দফতরের দিকে মিছিল করে যান। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল কুশপুত্তলিকা ৷ সেই কুশপুত্তলিকা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে গেলে এবিভিপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ব্যারিকেড করে বিক্ষোভকারীদের আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ ৷ এপিভিফি কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ পুলিশ গায়ে হাত দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে ৷ এরপরেই এবিভিপির কর্মীরা রাস্তায় বসে পড়েন ৷ তাঁদের দাবি ছিল, পুলিশ সুপারকে এসে ডেপুটেশন গ্রহণ করতে হবে ৷
আরও পড়ুন:
1. ঘুরপথে সন্দেশখালিতে বাম-বুদ্ধিজীবীরা, ন্যাজাটে কংগ্রেসকে বাধা পুলিশের
2. সন্দেশখালি-কাণ্ডে ময়দানে বিজেপিকে শর্তসাপেক্ষে ধরনার অনুমতি হাইকোর্টের
3. টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের এপিসি ভবন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র করুণাময়ী